স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও একাধিক নায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন এই সুপারস্টার ! বাবার এই ‘কেচ্ছা’-র কথা সামনে এনেছিলেন স্বয়ং পুত্রই
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
এটা তো বিখ্যাত এক গল্প। আর এই ঘটনাটি কিন্তু জড়িয়ে রয়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রভাবশালী কাপুর পরিবারের সঙ্গে। এক সময় সুপারস্টার ছিলেন এই পরিবারের ছেলে ঋষি কাপুর। নিজের আত্মজীবনী ‘খুল্লাম খুল্লা: ঋষি কাপুর আনসেন্সরড’-এ খোলাখুলি ভাবে নিজের বাবা রাজ কাপুরের সম্পর্কে লিখেছেন।
বি-টাউনের ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে একাধিক গল্প এবং উপাখ্যান প্রচলিত রয়েছে। ছবির নির্মাণের সময়কার কিছু গল্প ছড়িয়ে পড়ে, তো বা আবার তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন সংক্রান্ত বিষয়েও বহু জল্পনা শোনা যায়। আবার কখনও কখনও রুপোলি দুনিয়ায় কোনও নায়িকার সঙ্গে জড়িয়েছে নায়কদের নাম। কিন্তু হয়তো অনেকেই জানেন না যে, এক সুপারস্টার পুত্রই নিজের অভিনেতা বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সর্বসমক্ষে এনে দিয়েছিলেন।
advertisement
এটা তো বিখ্যাত এক গল্প। আর এই ঘটনাটি কিন্তু জড়িয়ে রয়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রভাবশালী কাপুর পরিবারের সঙ্গে। এক সময় সুপারস্টার ছিলেন এই পরিবারের ছেলে ঋষি কাপুর। নিজের আত্মজীবনী ‘খুল্লাম খুল্লা: ঋষি কাপুর আনসেন্সরড’-এ খোলাখুলি ভাবে নিজের বাবা রাজ কাপুরের সম্পর্কে লিখেছেন। এমনকী রাজ কাপুরের সম্পর্কগুলির বিষয়েও কথা বলেছেন ঋষি। সুন্দরী অভিনেত্রী নার্গিস এবং বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে জড়িয়েছে রাজ কাপুরের নাম। এমনকী ঋষি কাপুরের মা-ও স্বামীর এই সম্পর্কের কথা জানতেন।
advertisement
বাবার কেচ্ছার কথাই প্রকাশ করলেন পুত্র: বাবা রাজ কাপুর এবং অভিনেত্রী নার্গিসের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে ঋষি লিখেছেন যে, নার্গিস এবং রাজ কাপুরের জুটিকে এখনও পর্যন্ত সবথেকে জনপ্রিয় জুটি হিসেবেই রয়ে গিয়েছেন। ঋষি লিখেছেন, “সেই সময় আমার বাবার বয়স ছিল ২৮ বছর। আর সবেমাত্র চার বছর হয়েছিল, সেই সময় তিনি ছবির জগতে পা রেখেছিল। আর মা ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন আমার বাবা। আর তাঁর প্রেমিকা আর কেউই ছিলেন না, ছিলেন তাঁর ছবির নায়িকা নার্গিস।”
advertisement
advertisement
বাড়ি ছেড়েছিলেন মা: এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছিল ঋষি কাপুর, রাজ কাপুর এবং বৈজয়ন্তীমালার সম্পর্কের বিষয়েও। ঋষি বলেন যে, যখন তাঁর বাবার সঙ্গে বৈজয়ন্তীমালার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তখন তিনি এবং তাঁর মা মেরিন ড্রাইভের নটরাজ হোটেলে গিয়ে উঠেছিলেন। ঋষি লিখেছেন, “এরপর হোটেল থেকে আমরা ২ মাসের জন্য চিত্রকূটের একটি অ্যাপার্টমেন্টে শিফট করেছি। বাবা নিজেই স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য ওই বাড়িটি কিনেছিলেন। আর স্ত্রী-সন্তানদের ফিরে পাওয়ার জন্য সমস্ত চেষ্টাই করেছিলেন। কিন্তু আমার মা তা মানেননি, যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি ওই সম্পর্কে ইতি টেনেছেন।”
advertisement
বৈজয়ন্তীমালার উপর ঋষির আক্রোশ: ঋষি স্মৃতিচারণ করে বলেন যে, একবার বৈজয়ন্তীমালা বলেছিলেন যে, “আমার বাবাই পাবলিসিটির জন্য এই সম্পর্কের গুজব ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।” এই কথায় ক্ষিপ্ত ঋষি বলেছিলেন যে, “বৈজয়ন্তীমালার এমনটা বলার কোনও অধিকার নেই। যদি আমার বাবা বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি এই কথা কখনও বলতে পারতেন না। আর এই সম্পর্ক অস্বীকার করতেও পারতেন না।”
advertisement
advertisement
বাবার সঙ্গে সম্পর্ক: নিজের পুত্র রণবীরের মতোই ঋষির সঙ্গে তাঁর বাবা রাজ কাপুরেরও ফর্ম্যাল সম্পর্ক ছিল। ঋষির বক্তব্য, ধীরে ধীরে তাঁর বাবার প্রতি ভীতি কেটে গিয়েছিল। তারপরেই বাবার প্রতি ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা গভীর হয়েছিল। ঋষি লিখেছেন, “আমি যখন থেকে বাবার কাছাকাছি এলাম, তখন বাবার প্রতি একটা অন্যরকম শ্রদ্ধা তৈরি হল। আমার জন্য আমার বাবাই আমার গুরু।”