পড়াশোনা এবং কেরিয়ার:
জি নিউজের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত ফারহান তাসির আদতে ওড়িশার বাসিন্দা। বেঙ্গালুরুর ক্রাইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.টেক এবং এম.টেক (মেকানিক্যাল) ডিগ্রি সম্পন্ন করেছে সে। এখানেই শেষ নয়, এরপর পুণের সিম্বায়োসিস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রিও অর্জন করেছে। এক সময় দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থায় ম্যানেজার পদে চাকরি করত সে। কিন্তু করোনা অতিমারীর জেরে কোপ পড়ে তার সেই চাকরিটার উপরেই। আর তার পরেই ফারহানের জীবনে আসে এক নতুন মোড়। আসলে চুরির রাস্তা বেছে নিতে একপ্রকার বাধ্য হয় সে।
advertisement
চাকরি খোওয়ানোর পর অপরাধে হাতেখড়ি:
করোনা অতিমারীর জেরে চাকরি খোওয়া যাওয়ার পর কোনও উপায় না দেখে ফারহান অপরাধের দুনিয়ায় পদার্পণ করে। ধীরে ধীরে অপরাধে হাত পাকাতে থাকে সে। এরপর চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লি থেকে আগ্রাগামী ট্রেনে চেপে বসে। তবে সঙ্গে ছিল না বৈধ টিকিট। যদিও টিকিট পরীক্ষককে ৫০০ টাকা ঘুষ দিয়ে ব্যাপারটা সেখানেই সামলে নিয়েছিল সে। এরপর ওই ট্রেনের এসি কামরায় ঢুকে পড়ে সে। ট্রেনের যাত্রী এক চিকিৎসক ছিলেন ফারহানের নিশানায়। এরপর সুযোগ বুঝে সেই ডাক্তারের মোবাইল ফোন, পার্স এবং এটিএম কার্ড চুরি করে নেয় সে। এমনকী, চিকিৎসকের কার্ডের পাসওয়ার্ড খুঁজে বার করে চিকিৎসকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১.২৬ লক্ষ টাকা তুলেও নেয় ফারহান।
গ্রেফতারি:
ওই চিকিৎসকের অভিযোগ পেয়ে একটি এফআইআর রুজু করে মথুরা জিআরপি। এরপর শুরু হয় তদন্ত। প্রযুক্তিগত নজরদারির সাহায্যে ওড়িশা থেকে ফারহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এসপি জিআরপি বলেন যে, ফারহান তাসিরের শিক্ষাগত যোগ্যতা অসামান্য। কিন্তু অসৎ পথ বেছে নিয়েছে সে। আপাতত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে এবং গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।