চন্দনপুরের চৌধুরী বাড়ি অর্থাৎ তৎকালীন জমিদার বাড়িতে আজও স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বাক্ষর বহন করে। জমিদার পুলিন বিহারী চৌধুরী ও ভূধর চৌধুরীর বংশধর রজত বরণ চৌধুরী স্মৃতি চারণ করছিলেন সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা। তৎকালীন সংগ্রামী নেতা বলাই লাল দাস মহাপাত্র ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের দাপুটে নেতা। তাঁর প্রতিনিধিত্বেই স্বদেশী আন্দোলন এক নতুন প্রাণ পায় মেদিনীপুরের রামনগরের বুকে।
advertisement
তিনি তৎকালীন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের এক জনপ্রিয় নেতাও ছিলেন। কাঁথি ও রামনগর এলাকার স্বাধীনতা সংগ্রামের গোপন আখড়া করতেন চন্দনপুরের জমিদার বাড়ির গোপন ডেরায়। সেই আখড়ায় আসতেন বিভিন্ন প্রান্তের লোক। চন্দনপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে আসতেন পুলিন রায় চৌধুরী, যামিনী পাহাড়ী, বিজয় মন্ডল, খগেন্দ্র রানা। এমনকি কাঁথি থেকে জমিদার বাড়ির আখড়ায় আসতেন প্রমথ বন্দোপাধ্যায়, ঈশ্বর মাল, সুধীর দাস প্রমুখ। জমিদার বাড়ির গোপন ডেরায় ও পোড়ো মন্দিরে চলত গোপন মিটিং ও লাঠি খেলার প্রশিক্ষণও দেওয়া হত।
আর এসবের কারণেই ব্রিটিশদের রোষানলে পড়েছিল ওই জমিদার বাড়ি। বর্তমান সদস্যদের দাবি অনুযায়ী, ব্রিটিশরা সেই সময় ওই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। তবে আগুন লাগিয়ে দিলেও কিন্তু জমিদার বাড়ির তৎকালীন সদস্যরা স্বদেশী আন্দোলন এবং স্বদেশীদের সাহায্য করা থেকে পিছু পা হননি।