TRENDING:

দিঘার পাশেই এই সেই জমিদার বাড়ি, যার প্রতিটি ইট স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের দলিল! শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনারও, জানুন

Last Updated:

পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর এলাকার চন্দনপুর গ্রাম ছিল তৎকালীন স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান ও গোপন ঘাঁটি। মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক না বলা কাহিনী জড়িয়ে আছে এই চন্দনপুর গ্রামের সঙ্গে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রামনগর, পূর্ব মেদিনীপুর, পঙ্কজ দাশ রথী: ১৯৪২ সাল স্বাধীনতার আগুন জ্বলছে ভারতবর্ষ সহ মেদিনীপুরের আনাচে কানাচে। স্বদেশী আন্দোলনের জমাট বেঁধেছে অবিভক্ত মেদিনীপুরের মাটিতেই। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর এলাকার চন্দনপুর গ্রাম ছিল তৎকালীন স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান ও গোপন ঘাঁটি। মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক না বলা কাহিনী জড়িয়ে আছে এই চন্দনপুর গ্রামের সঙ্গে।
দিঘা চৌধুরী বাড়ি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস
দিঘা চৌধুরী বাড়ি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস
advertisement

চন্দনপুরের চৌধুরী বাড়ি অর্থাৎ তৎকালীন জমিদার বাড়িতে আজও স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বাক্ষর বহন করে। জমিদার পুলিন বিহারী চৌধুরী ও ভূধর চৌধুরীর বংশধর রজত বরণ চৌধুরী স্মৃতি চারণ করছিলেন সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা। তৎকালীন সংগ্রামী নেতা বলাই লাল দাস মহাপাত্র ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের দাপুটে নেতা। তাঁর প্রতিনিধিত্বেই স্বদেশী আন্দোলন এক নতুন প্রাণ পায় মেদিনীপুরের রামনগরের বুকে।

advertisement

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগে বাজারে দেশাত্মবোধের রঙিন ছোঁয়া! টি শার্ট থেকে ওড়না, পতাকা, কত দামে বিকোচ্ছে! জানুন

তিনি তৎকালীন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের এক জনপ্রিয় নেতাও ছিলেন। কাঁথি ও রামনগর এলাকার স্বাধীনতা সংগ্রামের গোপন আখড়া করতেন চন্দনপুরের জমিদার বাড়ির গোপন ডেরায়। সেই আখড়ায় আসতেন বিভিন্ন প্রান্তের লোক। চন্দনপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে আসতেন পুলিন রায় চৌধুরী, যামিনী পাহাড়ী, বিজয় মন্ডল, খগেন্দ্র রানা। এমনকি কাঁথি থেকে জমিদার বাড়ির আখড়ায় আসতেন প্রমথ বন্দোপাধ্যায়, ঈশ্বর মাল, সুধীর দাস প্রমুখ। জমিদার বাড়ির গোপন ডেরায় ও পোড়ো মন্দিরে চলত গোপন মিটিং ও লাঠি খেলার প্রশিক্ষণও দেওয়া হত।

advertisement

আরও পড়ুন: বয়স ১০০ ছুঁই ছুঁই! স্বাধীনতা আন্দোলনের ‘জীবন্ত দলিল’, আজও পায়ে হেঁটে রোজ নেতাজিকে প্রণাম করতে যেতে ভোলেন না এই মানুষটি

আর এসবের কারণেই ব্রিটিশদের রোষানলে পড়েছিল ওই জমিদার বাড়ি। বর্তমান সদস্যদের দাবি অনুযায়ী, ব্রিটিশরা সেই সময় ওই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। তবে আগুন লাগিয়ে দিলেও কিন্তু জমিদার বাড়ির তৎকালীন সদস্যরা স্বদেশী আন্দোলন এবং স্বদেশীদের সাহায্য করা থেকে পিছু পা হননি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
দিঘার পাশেই এই সেই জমিদার বাড়ি, যার প্রতিটি ইট স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের দলিল! শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনারও, জানুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল