যেটুকু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে যে. মাস চারেক আগে রামপুর থেকে ধরমপুর ডিপোয় বদলি হয়েছিলেন সঞ্জয় কুমার। দিন কয়েক আগে তিনি বিষাক্ত কিছু খেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন। এরপর ১২ জানুয়ারি মৃত্যু হয়েছে ওই বাসচালকের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যে ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়এছে, তাতে সঞ্জয়কে বলতে শোনা গিয়েছে যে, ধরমপুরের আরএম বিনোদ কুমার তারু তাঁকে হেনস্থা করছিলেন। প্রায় ৪ মাস ধরে আটকে রাখা হয়েছিল তাঁর বেতনও। এমনকী সঞ্জয়ের অভিযোগ, আরএম বারবার তাঁকে সাসপেন্ড করারও হুমকি দিতেন। এমনকী কাজ কীভাবে করতে হয়, সেটাও বলে দিত। ওই ভিডিও স্বাভাবিক ভাবেই হিমাচল পথ পরিবহণ নিগমের অন্দরে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
advertisement
তবে অন্য দিকে আরএম ধরমপুর বিনোদ কুমার নিজে অবশ্য সঞ্জয়ের এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, সঞ্জয় কুমার নামে ওই বাসচালককে সময়ে বেতন দেওয়া হত। কোনও ভাবেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়নি। এদিকে এই ঘটনার কথা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে উপর মহলের কানেও। আপাতত কর্পোরেশন ম্যানেজমেন্টের হায়ার অথরিটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আবার এইচআরটিসি ডিভিশন ম্যানেজার বিনোদ ঠাকুর বলেন যে, সকলের নজরে এসেছে গোটা ঘটনার কথা। মৃত বাসচালকের অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করে দেখা হবে। আর তদন্তে যে তথ্য হাতে আসবে, তার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে এ-ও মাথায় রাখা দরকার যে, গত কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত সংবাদের শিরোনামে রয়েছে এইচআরটিসি। ল্যাগ পলিসি থেকে শুরু করে কর্মীদের উপর গ্রহণ করা পদক্ষেপ – এই সব কিছুকে ঘিরেই একাধিক অভিযোগে উত্তাল হয়েছে ওই সংস্থা।