প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যামেরাটি এমনভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল যে ঘর পরিষ্কারের কর্মীরাও তা খুঁজে পায়নি। এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়। অতীতেও এমন অনেক ঘটনা অনেকবার সামনে এসেছে। তাই হোটেলে চেক ইন করার আগেই কিছু বিষয় মাথায় রাখলে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যেতে পারে।
সাজসজ্জার জিনিসে লুকানো থাকতে পারে ক্যামেরা
advertisement
অনেক সময়ে ক্যামেরা ঘরের সাজসজ্জার জিনিসে লুকিয়ে রাখা হয়। যেমন ক্যামেরা লুকানো থাকতে পারে স্পিকার, অ্যালার্ম ঘড়ি বা অন্য কোনও সাজসজ্জার জিনিসে। এ অবস্থায় ঘরে রাখা এই ধরনের জিনিসের দিকে মনোযোগ সহকারে নজর দেওয়া উচিত। ঘরের সাজসজ্জা ছাড়াও, টিভি এবং সেট টপ বক্সও ভাল করে দেখে নেওয়া উচিত।
টিভিতে থাকতে পারে ক্যামেরা
টিভিতে এবং সেট টপ বক্সে সাধারণত আলো জ্বলতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখলে মানুষের সে দিকে চোখ পড়বে না। কিন্তু স্মার্টফোনের ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে লুকানো ক্যামেরা পরীক্ষা করা যায়। ফ্ল্যাশ লাইটের আলো টিভি এবং সেট টপ বক্সে ফেলে দেখতে হবে। বিশেষ করে যদি নীল বা বেগুনি কোনও আলো দেখা যায়, বুঝতে হবে ক্যামেরা লুকানো থাকতে পারে ।
থাকতে পারে টু-ওয়ে মিরর
পুলিশ জানিয়েছে কখনও কখনও অপরাধীরা লুকানো ক্যামেরা টু-ওয়ে আয়নার পিছনে বা চারপাশে লুকিয়ে রাখে। তাই আলমারি, বাথরুম এবং রুমের সব কাচ পরীক্ষা করা উচিত। একে বলে টু-ওয়ে মিরর টেস্ট। পরীক্ষা করা খুবই সহজ। এতে আয়নার ওপর আঙুল রাখতে হবে। যদি আঙুল এবং আঙুলের প্রতিচ্ছবির মধ্যে ফাঁক থাকে তবে বুঝতে হবে এটি একটি সাধারণ আয়না। যদি সেটা না হয়, তবে বুঝতে হবে এটি একটি টু-ওয়ে মিরর।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি, ‘চলো গ্রামে যাই’
এই সব জায়গা ছাড়াও পাওয়ার প্লাগ, হেয়ার ড্রায়ার, ফায়ার অ্যালার্মের মতো জায়গাগুলোও দেখে নেওয়া উচিত। এর মধ্যেও ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয় বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। নাইট ভিশন ক্যামেরার জন্য, ঘরের লাইট বন্ধ করে দেখতে হবে। নাইট ভিশন ক্যামেরা থেকে একটা হালকা আলো আসে।