আর এর জন্য হরিদ্বার থেকে গঙ্গাজল সংগ্রহ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেখাকার বহমান গঙ্গার জলের নমুনা তুলে নিয়ে বাড়ি গিয়ে একটি অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে সেটি পরীক্ষা করে দেখতে থাকেন। কিন্তু যা দেখলেন, যেন নিজের চোখকেই বিশ্বাস করাতে পারছিলেন না তিনি। এরপরে বড় একটি হাসপাতালের ল্যাবে শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে গঙ্গাজলের ওই নমুনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দুই ধরনের অণুবীক্ষণ যন্ত্র থেকে যা ফল বেরোল, তা প্রায় চমকপ্রদ।
advertisement
এক কণাও জীবাণু মেলেনি:
সাধারণত নদীর জল যখন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের তলায় রাখা হয়, তখন তাতে নানা ধরনের জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া দেখা যায়। আর সেই নদীর জল পান করা হলে সেই জীবাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করে। কিন্তু যখন নিজের বাড়িতে ফিরে ওই ব্যক্তি গঙ্গা জল অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করেন, তখন চমকপ্রদ তথ্য তাঁর সামনে আসে। তিনি দেখেন সেই জলে একফোঁটাও জীবাণু অথবা ব্যাকটেরিয়া নেই। এরপরে হাসপাতালের শক্তিশালী লেন্সের মাধ্যমে একই পরীক্ষা করেন।
চার দিন পর এল ফলাফল:
হাসপাতালের পরীক্ষাগারে অত্যন্ত শক্তিশালী লেন্স ব্যবহার করে ওই ব্যক্তি গঙ্গাজল পরীক্ষা করেও তাতে কিছু দেখতে পাননি। এরপর বিশেষজ্ঞদের দিয়েও পরীক্ষা করান তিনি। তাঁরাও গঙ্গাজলের মধ্যে কোনওরকম জীবাণু অথবা ব্যাকটেরিয়ার হদিশ পাননি। এরপর সেই জল কালচারের জন্য পাঠানো হয়েছিল। যার জন্য সময় লেগেছিল চার দিন। গঙ্গাজলের নমুনা পরীক্ষা করার পর তাতে কোনও পোকামাকড় বা কিছুই দেখা যায়নি। ল্যাব বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জল পান করা যেতে পারে। আসলে গঙ্গাজল বিশুদ্ধ এবং পবিত্র। কখনওই নষ্ট হয়না। এটা কোনও মিথ্যা নয়। একেবারেই সত্য এই তথ্য। আপাতত এই ভিডিও দেখে গঙ্গাজলের মাহাত্ম্য নিয়েই কথা বলছেন নেটিজেনরা। আবার কমেন্ট বাক্সে অনেককেই মা গঙ্গার স্তব জপ করতে দেখা গিয়েছে।
