কিন্তু ধীরে ধীরে মেয়েটির পেট ফুলতে শুরু করে, অস্বাভাবিক ব্যথা, বমি, ক্ষুধামান্দ্য ও দ্রুত ওজন হ্রাস লক্ষ করা যায়। তাকে একের পর এক হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু কোনও আল্ট্রাসাউন্ড কিংবা পরীক্ষায় কিছু ধরা পড়েনি। রোগের সঠিক পরিচয় মিলছিল না, এমনকি কেউ অস্ত্রোপচার করতে সাহসও দেখাচ্ছিল না।
আরও পড়ুন: তৃতীয় বিয়ের ছক, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে চরম শাস্তি ৫ সন্তানের মায়ের! ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য…
advertisement
শেষমেশ পরিবার তাকে নিয়ে আসে প্রয়াগরাজের নারায়ণ স্বরূপ হাসপাতালে। এখানেই ডাক্তারদের একটি বিশেষজ্ঞ দল — ডা. রাজীব সিং, ডা. বিশাল কেওলানি, ডা. যোগেন্দ্র ও ডা. রাজ মউর্যর নেতৃত্বে — সিদ্ধান্ত নেন অপারেশনের।
সার্জারির সময় চমকে ওঠেন সকলেই। মঞ্জুর পেটের মধ্যে তৈরি হয়েছিল একটি ১.৫ ফুট লম্বা ও ১০ সেমি চওড়া চুলের গাঁট, যা ওজনে প্রায় আধা কেজি। এটি একটি মেডিকেল কন্ডিশন, যার নাম Trichobezoar। চুলগুলো পাকতে পাকতে একটি বড় টিউমারের মতো রূপ নিয়েছিল, যা বের না করলে তার প্রাণনাশ হতো।
আরও পড়ুন: সবার সামনে বিয়ের মঞ্চে বরকে চরম অপমান পাত্রীর! মারা হল ধাক্কা, ছোঁড়া হল গলার মালাও…! দেখুন ভিডিও…
সতর্কতায় ও দ্রুত সিদ্ধান্তে দুই ঘণ্টার এই জটিল অপারেশন সফল হয়। এখন মঞ্জু সুস্থ, স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া করছে এবং মানসিক চিকিৎসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে।
এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়— ছোট ছোট অদ্ভুত অভ্যাসকে অবহেলা না করে, সময়মতো মানসিক এবং শারীরিক চিকিৎসা জরুরি। না হলে, ছোট সমস্যা বড় বিপদের রূপ নিতে পারে।