আরও পড়ুন– স্নান করার সময় প্রস্রাব হচ্ছে? এটা কি কোনও গুরুতর রোগ? আসল সত্যটা জানলে চমকে যাবেন
কিন্তু কী এমন হয়েছে সেখানে? গোয়ালিয়র জেলার ডাবরার কাছেই অবস্থিত গিরগাঁও। আর সেখানকারই এক গোয়ালার কাছ থেকে প্রতিদিনকার মতোই ওই গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা মোষের দুধ পান করেছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই রটে যায়, যে মোষটির দুধ গ্রামবাসীরা পান করেছিলেন, সেই মোষটিকে কামড় দিয়েছিল একটি পাগল কুকুর। যার জেরে জলাতঙ্কের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে ওই মোষটির মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে যাঁরাই সেই সংক্রমিত দুধ পান করবেন, তাঁদেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এমনকী, এই সংক্রমণের জেরে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। ফলে যাঁরা দুধ পান করেছিলেন, তাঁরা এই ঘটনার কথা শুনেই কাতারে কাতারে জেলা হাসপাতালের দিকে ছুটতে শুরু করেন।
advertisement
মুরারে গিয়ে গ্রামবাসীরা স্লিপ বানিয়ে অ্যান্টি-র্যাবিস ইঞ্জেকশন রুমের বাইরে অপেক্ষা করতে শুরু করেন। আর এভাবে এত মানুষকে জড়ো হতে দেখে চমকে গিয়েছিলেন ইঞ্জেকশন রুম ইন-চার্জ সিনিয়র নার্স রেখা রাঠৌর। এরপর গ্রামবাসীদের প্রশ্ন করেন যে, একসঙ্গে একটা কুকুরই এত জন মানুষকে কামড়েছে? এরপরেই গ্রামবাসীরা কুকুরে কামড়ানো মোষের দুধ পান করা সংক্রান্ত ঘটনার কথা নার্সের কাছে জানান।
উদ্বেগের প্রশ্নই নেই:
গ্রামবাসীদের সমস্ত কথা শুনে সিনিয়র নার্স রেখা রাঠৌর গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, “আপনারা তো মোষের দুধটা ফুটিয়ে খেয়েছেন। যার জেরে কোনও রকম সংক্রমণের আশঙ্কা নেই আপনাদের।” আসলে পাগল কুকুরে কামড়ানো মোষের দুধ খেয়ে সংক্রমণের আশঙ্কায় ভুগছিলেন গ্রামের মানুষ। সেই সংক্রমণ থেকে বাঁচতেই তাঁরা দলে দলে অ্যান্টি-র্যাবিস ইঞ্জেকশন নিতে হাসপাতালে ছুটে যান। বেশ কিছু গ্রামবাসী আবার মোষের দুধ কাঁচা অবস্থায় অর্থাৎ না ফুটিয়ে পান করে ফেলেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে ১৫ জন গ্রামবাসীকে অ্যান্টি-র্যাবিস ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। তারপরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন তাঁরা।