যা কিছু কিছু ‘মমির অভিশাপ’কে জাগিয়ে তুলেছিল। হাজার হাজার এমন জায়গার খোঁজ মিলেছে, যার সঙ্গে কোনও কোনও অভিশাপের সম্পর্ক রয়েছে। মিশরে এমন কয়েকশো জায়গা রয়েছে। যেখানে মমির অভিশাপ কোনও না কোনও ভাবে রয়েছে।
শোনা যায়, ১৯২০ সালে তুতেনখামেনের সমাধিস্থল খোঁড়াখুঁড়ি করার পরে একের পর এক মানুষের মৃত্যু হতে শুরু করে। ফলে বিষয়টির কোনও শাপের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে মনে করা হত। একই ভাবে, ১৯৭২ সালে চতুর্থ ক্যাশিমির জ্যাগিলনের সমাধিক্ষেত্রে খননকার্যের সঙ্গেও কোনও অভিশাপের যোগ রয়েছে বলে অনেকের বিশ্বাস। এবার গ্রিসের আর্টেমিস অমেরিন্থোসে এমনই এক অভিশপ্ত জায়গার খোঁজ পেলেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: অনিয়মিত পিরিয়ড, পেটে ব্যথা? ঋতুস্রাবের একাধিক সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এই পাতা
এই অভিশপ্ত এলাকায় মানুষের মৃত্যুর পিছনে দায়ী এক বিশেষ ধরনের বিষ। মনে করা হয়, যাঁরা এই খননকার্য দেখতে গিয়েছেন কিংবা এর আশপাশের অংশে থেকেছেন, তাঁরাই মৃত্যুর মুখে পড়েছেন। গ্রিসের মন্দিরের বিষয়ে এমনই বিশ্বাস। সপ্তম শতকের এই মন্দিরের খননকার্যের আশপাশে মারণ এবং বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছিল বলে মনে করা হয়।
আবার টানা ৪ বছরের প্রচেষ্টার পরে ইউবোয়া দ্বীপপুঞ্জে এমন একটি জায়গার সন্ধান মেলে, যার পুরোটাই একটা মন্দিরের ভিতরে অবস্থিত। এখানে গেলেই যেন গা-ছমছমে অনুভূতি হবে। যদিও খননকার্য এখনও চলছে। তবে খননকারীদের আশঙ্কা, এখানেও এক বিশেষ ধরনের বিষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই ধরনের বিষ মূলত ইউরোপ, বলকান এবং আফ্রিকার সাইটে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই মন্দিরে মেলা কিছু বিষয় থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এখানে এক সময় বলি দেওয়া হত। তবে বিশেষজ্ঞরা এখন এটা খতিয়ে দেখছেন যে, সেখানে পশু না কি অন্য কিছু বলি দেওয়া হত। কারণ সেখানে পাওয়া কিছু সূত্রের থেকে পশু বলির প্রক্রিয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।