নৈনিতালের মল রোডের একটি আইসক্রিমের দোকানের ঘটনা এই মুহূর্তে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনজন নাবালক গত ছয় মাস ধরে ‘গুগল পে’-র মতো দেখতে একটি ভুয়ো অ্যাপের মাধ্যমে দোকানদারের সঙ্গে প্রতারণা করছিল। প্রতিদিন আইসক্রিম খাওয়া এবং ভুয়ো পেমেন্ট স্ক্রিন দেখিয়ে চলে যাওয়া তাদের নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছিল।
ছেলেদের কীভাবে ধরা হল –
advertisement
৭ মে, তিন নাবালক যথারীতি আইসক্রিম খেয়ে একটি ভুয়ো অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট দেখালে বিষয়টি সামনে আসে। কিন্তু, এবার দোকানদার সতর্ক হয়ে যান এবং তৎক্ষণাৎ নিজের মোবাইলে লেনদেন পরীক্ষা করেন। টাকা না পেয়ে তিনি সন্দেহ করতে শুরু করেন। তবে ঝামেলা না করে দোকানদার পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করেন। বাচ্চারা যখন আবার দোকানে এসে একই কাজ করে, দোকানদার তাদের আগের দিনের পেমেন্ট দেখাতে বলেন। ছেলেরা এদিক ওদিক তাকাতে শুরু করে এবং হঠাৎ সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু এবার দোকানদার তাদের ধরে ফেলেন।
ভুয়ো অ্যাপ দিয়ে প্রতারণা –
জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায়, ছেলেরা চাইনিজ গুগল পে-এর মতো একটি ভুয়ো অ্যাপ ব্যবহার করছিল যা একটি ভুয়ো পেমেন্ট স্ক্রিন দেখায়। এই অ্যাপটি দেখতে আসল গুগল পে-এর মতো, কিন্তু এতে কোনও লেনদেন হয় না। ঘটনার পর, ছেলেরা ক্ষমা চায় এবং ভুল পুনরাবৃত্তি না করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
আইসক্রিমের দাম মেটানো হয় –
একই সঙ্গে তারা আইসক্রিমের জন্য ৩০০ টাকাও দিয়ে দেয়। তাদের অল্প বয়সের কথা বিবেচনা করে দোকানদার তাদের পুলিশি ঝামেলায় ফেলেননি বরং শিক্ষা দেওয়ার জন্য পুরো ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এই ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং লোকেরা দোকানদারের সতর্কতার প্রশংসা করে। এই ঘটনা ডিজিটাল পেমেন্টের উপর অন্ধভাবে বিশ্বাস করা নিয়েও প্রশ্ন তোলে!