১) মুম্বই:
গণেশ পূজা মাথায় এলে প্রথম নাম আসে- মুম্বই। অর্থনীতির রাজধানীতে প্রতি বছর পূজা প্যান্ডেল এবং রাস্তায় রাস্তায় হাজার হাজার প্রতিমা পুজো করা হয়। ১৮৯৩-এ স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলক ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের একত্রিত করার একটি পদক্ষেপ হিসাবে প্রথম ধুমধাম করে গণেশ পুজো শুরু করেছিলেন। তিনি বিশাল হোর্ডিং লাগিন এবং জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবাইকে গণপতি উৎসবের অংশ হতে আহ্বান জানান। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত উদযাপন একই রকম ভাবে পালন হয়ে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সম্পর্কে গালিগালাজ কি স্বাস্থের পক্ষে ভাল? কী বলছে গবেষণা...
২) হায়দ্রাবাদ:
আপনি হয়তো জানেন না, হায়দ্রাবাদ হল আরেকটি শহর যেখানে মানুষ এই উৎসব উদযাপন করেন। খয়রাতাবাদ, কমলানগর বালাপুর, চৈতন্যপুরী, হায়দ্রাবাদের ওল্ড সিটি (গৌলিপুরা) শহরের জনপ্রিয় প্যান্ডেলগুলি এর মধ্যে কয়েকটি। কথিত আছে যে প্রাচীনতম প্যান্ডেলটি হল গৌলিপুরা গণেশ প্যান্ডেল এবং দেবতার সবচেয়ে বড় মূর্তিটি খয়রাতাবাদে স্থাপন করা হয়েছে।
৩) পুনে:
পুনে মহারাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবেও পরিচিত। পেশোয়াদের যুগে ভগবান গণেশকে ব্যাপকভাবে ভক্তি এবং প্রচুর দর্শনের সঙ্গে পূজা করা হত। কেশরীওয়াড়া গণপতি, কসবা গণপতি, তাম্বদি যোগেশ্বরী গণপতি, গুরুজি তালিম এবং তুলসীবাগ গণপতি হল শহরের কয়েকটি বিখ্যাত গণেশ প্যান্ডেল যেগুলি আপনি দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন: কফি খেতে ভালবাসেন? জেনে নিন দিনে কত কাপ কফি খেলে আপনার ওজন বাড়বে না
৪) কানিপাকাম:
অন্ধ্রপ্রদেশের চিতোরে এই গ্রাম অবস্থিত। ২১ দিন ধরে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব নিয়মে গণেশ পুজো করেন।
৫) গোয়া:
মাপুসায় গণেশপুরী এবং খান্ডোলা মন্দির রয়েছে। ইকো-ফ্রেন্ডলি মূর্তি হয় এখানে। ক্যান, নারকেলের খোল বা বাঁশ দিয়ে মূর্তি তৈরি করা হয়। উৎসবে প্যান্ডেল তৈরি করে গণেশ পুজো উদযাপন হয় বহুদিন ধরে।