ইদ-উল-ফিতর পবিত্র মাস রমজানের সমাপ্তি উপলক্ষে উদযাপিত হয়। এটি আসলে রমজান মাসে পালিত রোজা বা উপবাস ভাঙার পার্বণ। রমজান মাসে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত উপবাস রাখেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুসারে শাওয়াল (Shawwal) মাসের প্রথম দিনটিতে পালিত হয় ইদ-উল-ফিতর।
এই শুভ দিনটিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নতুন পোশাক পরে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাযন। এই পার্বণের প্রধান আকর্ষণ সেবাইয়াঁ (Sawaiyan) নামক একটি মিষ্টি। এই মিষ্টি মূলত বন্ধুদের এবং পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পরিবারের সব প্রাপ্তবয়স্করা এই দিনে বাচ্চাদের উপহার দেযন এবং দরিদ্রদের জন্য কিছু পরিমাণ অনুদান দেযন।
advertisement
অপর দিকে, প্রতি বছর সারা দেশ জুড়ে পালিত হয় ইদ-অল-আদাহ (Eid al Adha)। এই ইদ কোরবানির ঈদ বা বকরি ঈদ নামেও পরিচিত। এই উৎসবে আল্লার উদ্দেশে কিছু না কিছু উৎসর্গ করে কোরবান করতে হয়। ইদ-অল-আদাহ পালিত হয় হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২তম ও শেষ মাস ধুল হিজার দশমতম দিনে। এই উৎসব তাঁদের কাছে ত্যাগের প্রতীক।
লুনার বা চান্দ্র ক্যালেন্ডারের উপরে ভিত্তি করে পালিত হয় মুসলিম ধর্মের সমস্ত উত্সব। সৌর ক্যালেন্ডারের থেকে চান্দ্র ক্যালেন্ডার ১১ দিন ছোট, তাই প্রতি বছর ইদের দিন এক হয় না। ইসলামিক ক্যালেন্ডারের জিরহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয় কোরবানির ইদ বা বখরি ইদ। এই উৎসবে দিনের শুরুতেই মুসলমানরা নামাজ পড়ে পশু কোরবানি দেন।
করোনার মারণ কামড়ের জেরে সমস্ত উৎসবেই রাশ টানা হয়েছে। এবারে ইদেও সেই একই ছবি দেখা যাবে। এই বছর নামাজ পড়তে আর একসঙ্গে বহু মানুষের ঢল দেখা যাবে না। সকলেই নিজের ঘরে বসেই নামাজ পড়ে পালন করবেন ইদ-উল-ফিতরের পবিত্র অনুষ্ঠান।