এগুলি পরিষ্কার এবং চকচকে রাখা কেবল স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিনের জন্যই অপরিহার্য নয়, বরং এটি বাসনকোসনের আয়ুও বৃদ্ধি করে। তামার পাত্র চকচকে রাখার অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে। আর এর জন্য কোনও রাসায়নিকেরও প্রয়োজন হয় না। ঘরে রাখা সাধারণ উপকরণ দিয়েই তামার বাসন পরিষ্কার করে নেওয়া সম্ভব।
বাগেশ্বরের স্থানীয় বিশেষজ্ঞ রমেশ পার্বতীয়া Local 18-কে বলেন যে, ঘরেই তামার বাসন পালিশ করতে হলে একটি বড় লেবুর প্রয়োজন হবে। লেবুটি নিয়ে সেটিকে তামার পাত্রের উপর হালকা করে ঘষতে হবে। আসলে লেবুতে উপস্থিত প্রাকৃতিক অ্যাসিড ধীরে ধীরে তামার উপর জমে থাকা ময়লা এবং কালচে ভাব দূর করে। পাত্রে লেবু ঘষতে থাকলেই দেখা যাবে যে, পাত্রে জমে থাকা কালো দাগ ধীরে ধীরে দূর হতে শুরু করেছে।
advertisement
আসলে এটি একটি ঘরোয়া প্রতিকার। যা কেবল কার্যকরই নয়, নিরাপদও বটে! কারণ এর মধ্যে কোনও রাসায়নিক উপাদান থাকে না। এই পদ্ধতিতে কেবল তামার পাত্র পরিষ্কারই করা যায় না,তার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে সেটিকে চকচকে রাখতেও সাহায্য করে। আসলে লেবুর অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য তামা ধাতুর ক্ষতি করে না, বরং পাত্রের রঙ এবং চকচকে ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করে। তাছাড়া, এই পদ্ধতিটি খুবই সস্তা এবং সময়ও বাঁচিয়ে দেয়। অর্থাৎ এর জন্য কোনও দামি ডিশ ক্লিনার বা বাজারে প্রাপ্ত কোনও রাসায়নিকের প্রয়োজন হবে না।
এছাড়াও এই পদ্ধতির সুবিধা হল, এটি তামার পাত্রটিকে আবার কালো হওয়া থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। লেবুর রস পাত্রের পৃষ্ঠে একটি হালকা আবরণ তৈরি করে, যা তামার ধাতুকে বাইরের পরিবেশ থেকে রক্ষা করে। যার ফলে এতে দীর্ঘ সময় ধরে চকচকে ভাব বজায় থাকে। লেবু ছাড়াও লবণ ও ভিনিগারের মিশ্রণও তামার পাত্রের চকচকে ভাব ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত কার্যকর। এটিও একটি ঘরোয়া প্রতিকার, যা তামা থেকে কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে এবং এটিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য নতুন দেখাতে সহায়ক।