উত্তর কলকাতার ঠাকুর দেখতে যাবেন? কুমোরটুলি, শোভাবাজার হোক বা বাগবাজার... লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে, ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখার পর তো বড়ো মাপের একটা খিদে পেয়ে যায়। শুধু ফুচকা বা ঝালমুড়িতে মন ভরলেও, পেট ভরে না। তবে উপায়? আপনার জন্য রয়েছে সেরা ঠিকানা, জমিয়ে একটা প্রন কাটলেট খেয়ে আসুন। কোথায় খাবেন? ঠিকানা তো রয়েছে আপনার হাতের মুঠোয়, শোভাবাজার মেট্রো স্টেশন থেকে মাত্র ১০০মিটার দূরত্বের মধ্যেই রয়েছে - অ্যালেন্স কিচেন (Allen’s Kitchen)। কলকাতার সবচেয়ে সেরা প্রন কাটলেটটা আপনি সেখানেই পাবেন। এ ছাড়াও রয়েছে চিকেন-মাটন স্টক, মাছ মাংসের পুর দেওয়া রকমারি চপ, কবিরাজি কাটলেট, ডেভিল, রোল ইত্যাদি।
advertisement
তাবড় তাবড় শিল্পী-সাহিত্যিক, মন্ত্রী-আমলা, অভিনেতা থেকে খেলোয়াড় কেউই এই রসে বঞ্চিত রাখেননি নিজেকে। দামি দামি গাড়ির লাইন পড়ে যায় Allen সাহেবের রান্নাঘরের দরজায়।
আরও পড়ুন: দেবীপক্ষের আগেই ‘সুইগি’ গার্লের জয়জয়কার! হুইলচেয়ারে করেই খাবার পৌঁছে দেন বাড়ির দরজায়
তবে উত্তর কলকাতায় এইরকম এক বিদেশি নামের দোকান কেন? এর ইতিহাস সুদূরপ্রসারী। প্রায় ১৪০ বছর আগে স্কটল্যান্ডের এক সাহেব কলকাতার চিৎপুরের অ্যালেন মার্কেটে খুলেছিলেন একটি ছোট খাবারের দোকান। তাঁর নাম ছিল Mr. Allen। আর তাঁর নামেই এই Allen’s Kitchen। প্রায় পৌনে এক শতাব্দী পর ১৮৫৪-এ জীবনকৃষ্ণ সাহার হাত ধরে নতুন চেহারায় যাত্রা শুরু করে Allen’s Kitchen। জীবনকৃষ্ণ সাহার চতুর্থ প্রজন্ম এখন দোকানের মালিক। সুব্রত সাহা এবং দীপক সাহা।
আরও পড়ুন: বর্ষায় জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? সঙ্গে এই পানীয় থাকলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
হাল ফ্যাশনের চেহারা নেই, জাঁক জমক নেই এতটুকু। তার বদলে আছে কড়িবরগার ছাদ, পুরোন মার্বেলের টেবিল, রঙ চটে যাওয়া কাঠের চেয়ার। অ্যালেনে কেউ আসেন স্বাদের টানে, কেউ আবার সেই কলকাতাটাকে ছুঁয়ে দেখতে, নিত্য আধুনিকতার চাপে হারিয়ে যাচ্ছে যা।