মহিষাদল রাজবাড়ি যেন একটা আস্ত ইতিহাসের বই। রাজবাড়ির প্রতি পাতায় ইতিহাস। রাজাদের গল্পকথা। আগমনী বন্দনার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে রাজবাড়িতে।
রাজবাড়ির ঠাকুরদালানে চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। উল্টোরথেই খড়ের কাঠামোয় পড়ে মাটির প্রলেপ। মাটির ঠাকুরেই তখন প্রাণের স্পন্দন আসবে। মাটির পুজোয় মন ঢেলে দেন রাজবাড়ির প্রতিমাশিল্পী গোপাল চন্দ্র ভুঁইয়া।
আরও পড়ুন: 'শোলার গ্রাম' বনকাপিসি! দশভূজার রূপসজ্জা নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে মঙ্গলকোটে
advertisement
মহিষাদল রাজ পরিবারে দুর্গাপূজা হয় দশদিনের। নবমী পর্যন্ত পুজো এবং দশদিনের দিন বিসর্জন।প্রতিপদে পুজো শুরু। দশমিতে বিসর্জন। দশদিনের পুজো। এবারেও সেই রীতি মেনেই পুজো প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গেছে। রাজবাড়িতে এখন পুজোর রঙ।
আরও পড়ুন: সুদূর বাহারিনের পথে চাকদহর 'মা দূর্গা'! বাড়ি ছাড়তে হয় শিল্পী অনুপ গোস্বামীকে
প্রসঙ্গত, রাজবাড়ির আটচালার সামনে দুর্গামণ্ডপে পুজোর আয়োজন হয়। প্রতিপদ থেকে চণ্ডীমঙ্গল। প্রাচীন রীতিনীতি মেনে পুজো নির্ঘণ্ট। আগে যাত্রার আসর বসত নাটমন্দিরে। চিকের আড়াল থেকে দেখতেন মহিলারা। যাত্রা এখনও হয়। বসে পালা কীর্তনের আসরও। স্বাধীনতার পর থেকে বন্ধ বলি। আগে আট মণ চালের ভোগ হত...এখন হয় আট কেজি চালে...অষ্টমীতে।কামানটা আজও আছে। তবে তোপধ্বনি হয় না....বাজির শব্দেই এখন হয় সন্ধিপুজো...গেঁওখালির কাছে রূপনারায়ণে দুই নৌকায় বিসর্জনও আজ অতীত....বিসর্জনের পথে শোভাযাত্রায় বন্দুক হাতে পেয়াদারাও নেই.....রাজবাড়ির নিজস্ব দিঘিতেই এখন হয়বিসর্জন।