তবে দুর্গাপুজোর চার-পাঁচ দিনের মধ্যে অষ্টমীতে অনেক বাড়িতেই নিরামিষ খাওয়া চল রয়েছে। আসলে এই দিনটা বিশেষ করে বরাদ্দ করা হয় ভোগ খাওয়ার জন্য। আগে পাড়ার পুজোয় পাত পেড়ে ভোগ খাওয়ানো হত। এখন পাড়ার পুজোগুলো টিম-টিম করে। কিন্তু তার জায়গায় হই-হই করে এসেছে সোস্যাইটির পুজো। বড় বড় বাড়ি, চার পাঁচটা টাওয়ার নিয়ে একখানা সোস্যাইটি। সেখানেও অষ্টমীর দিন মণ্ডপে ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অষ্টমীর খাওয়া দাওয়ার বিশেষত্ব খিচুড়ি, লাবড়া।
advertisement
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালনে মরিয়া 'সুজিতবাবু', শ্রীভূমির রাস্তায় নেই যানজট!
তবে যাঁরা একেবারে বাড়িতেই খাওয়াদাওয়া সারতে চান, তাঁরাও এ দিন খিচুড়ির দিকে ঝুঁকতে পারেন। আসলে খিচুড়ির মতো সহজ এবং স্বাদু পদ বাঙালির কাছে কমই আছে। তাই চটপট নিজের মনের মতো করে বানিয়ে ফেলাই যায় খিচুড়ি। এমনিতেই অষ্টমীর সকাল থেকে নানা ব্যস্ততা। সকালে অঞ্জলি দেওয়া, কুমারী পুজো। বিকেল হতে না হতেই সন্ধিপুজো, সন্ধ্যায় আরতি, ধুনুচি নাচ। ফলে খাওয়াদাওয়াটা একটু সহজ হলে মন্দ হয় না।
আরও পড়ুন: পেশাদাররা হতে পারেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, UGC-র নতুন নির্দেশ
কিন্তু অনেকের বাড়িতেই এ দিন অতিথি আসেন। বেশির ভাগ বাঙালি বাড়িতেই এ দিন হয়তো আসে মেয়ে-জামাই, ঘরের গৌরী। ফলে জামাইয়ের পাতে নিরামিষ দেওয়াটা সমস্যার হয়ে যেতে পারে।
কোনও চিন্তা নেই। বাঙালি আর বাঙালির খাওয়া দাওয়া— সব সময়ই উর্বর উদ্ভাবনী বিদ্যায় সমৃদ্ধ। এখন অনেক রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খিচুড়ি প্ল্যাটার। বাড়িতে ডেলিভারিও করা হয়। তেমনই সব প্ল্যাটারে দিব্যি পাওয়া যায় চিকেন বা মাটনের কোফতা খিচুড়ি, চিংড়ি খিচুড়ি, ইলিশ খিচু়ড়ি, ভুনা খিচুড়ি। সঙ্গে মনের মতো আমিষ পদ। পাওয়া যায় লোভনীয় চাটনিও। শুধু ইন্টারনেট ঘেঁটে একটু পছন্দ করার অপেক্ষা।
বাড়িতে একটু আলুভাজা বা পাঁপড় ভাজার ব্যবস্থা রাখতে পারলেই দুপুরের পাত পরিপূর্ণ। শেষ পাতে অবশ্য দই মিষ্টি রাখা চাই। না হলে পুজো জমে না কি!