জোন ব্যাক্সটারের পায়ে আঘাত লাগার কিছুক্ষণ পরেই তার নাতনির পোষা কুকুরটি সেই খোলা ক্ষতটি চেটে দেয়। কুকুরটির প্রতি ভালোবাসা হয়তো তাকে এই বিষয়ে সচেতন হতে দেয়নি। কিন্তু এই এক চাটাই-ই কাল হয়ে দাঁড়াল। কুকুরের মুখের লালায় সাধারণত পাসচারেল্লা মালটোসিডা (Pasteurella multocida) নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া জোন ব্যাক্সটারের ক্ষতের মাধ্যমে তার শরীরে প্রবেশ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখছেন? সতর্ক হন! এটিই হতে পারে দ্রুত বার্ধক্য ও অকাল মৃত্যুর লক্ষণ…
আঘাত লাগার পরদিন জোন ব্যাক্সটারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাকে দ্রুত নরফোক এবং নরউইচ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্ত পরীক্ষায় পাসচারেল্লা মালটোসিডার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেন তাকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু শরীরের দুর্বলতা এবং পূর্ব বিদ্যমান কিডনি, লিভার ও হার্টের সমস্যা তাকে সেপসিসের (sepsis) মতো মারাত্মক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়নি। ৭ই জুলাই, এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলেই তিনি মারা যান।
করোনার জোহানা থম্পসন আনুষ্ঠানিকভাবে এই মৃত্যুকে একটি আকস্মিক মৃত্যু (accidental death) হিসেবে নথিভুক্ত করেছেন। জোন ব্যাক্সটারের নাতনি ক্যাটলান অ্যালিন, যিনি তার প্রধান পরিচর্যাকারী ছিলেন, আঘাত লাগার পর সেখানে পৌঁছেছিলেন এবং তার চোখের সামনেই কুকুরটি ক্ষতটি চেটেছিল।
এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, পোষা প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও, তাদের থেকে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে যখন পরিবারের বয়স্ক বা অসুস্থ সদস্যরা থাকেন, তখন ছোটখাটো আঘাত বা ক্ষত সম্পর্কে অত্যন্ত যত্নশীল হওয়া উচিত। এই দুঃখজনক ঘটনাটি পরিবারে এক গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।