ব্রিটেনের বাসিন্দা ভিক্টোরিয়া কিছু স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সমস্যার সমাধান না পেয়ে তিনি DNA পরীক্ষা করান এবং তার জৈবিক (বায়োলজিক্যাল) পিতার খোঁজ শুরু করেন। তখনই সামনে আসে এক বিস্ফোরক তথ্য— তার জন্ম IVF (কৃত্রিম প্রজনন) পদ্ধতিতে হয়েছিল।
advertisement
ভিক্টোরিয়ার DNA পরীক্ষার পর তার স্বামীও কৌতূহলবশত নিজের পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। এবং রিপোর্ট আসতেই সামনে আসে এক ভয়ংকর সত্য— তাদের দুজনের জন্ম একই ডাক্তারের দেওয়া শুক্রাণুর মাধ্যমে হয়েছে!
যে মানুষটিকে ভিক্টোরিয়া এত বছর ধরে স্বামী হিসেবে দেখেছেন, তিনি আসলে তারই সৎ ভাই! এই তথ্য জানার পর দম্পতি এক গভীর মানসিক সংকটে পড়ে যান। ভিক্টোরিয়া জানতে পারেন, তার মা সন্তানধারণের জন্য ইয়েল ফার্টিলিটি ক্লিনিকের সাহায্য নিয়েছিলেন এবং ঠিক একই পদ্ধতিতে তার স্বামীও জন্মেছিলেন।
এই চাঞ্চল্যকর তথ্য কেবল তাদের সম্পর্ককেই নাড়িয়ে দিয়েছে, বরং ফার্টিলিটি ক্লিনিকের দুর্নীতিও প্রকাশ্যে এনেছে।
ভিক্টোরিয়া ও তার স্বামী ১০ম শ্রেণি থেকে একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন এবং বহু বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন। কিন্তু DNA পরীক্ষার পর তাদের পুরো জীবনটাই যেন বদলে গেল! এই সত্য সামনে আসার পর তাদের সম্পর্ক এখন ভয়ংকর এক অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে রয়েছে।