আমাদের পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে মহাসাগর। অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের ৭২ শতাংশই মহাসাগর। আর এই কারণেই মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে অনেকটা নীল রঙা মার্বেল পাথরের মতো দেখায়। আবার অন্য দিকে, মহাসাগরের তুলনায় সমুদ্র বা সাগর আকারে বেশ ছোট। বলা ভাল, সমুদ্র বা সাগর হল মহাসাগরেরই একটা ছোট্ট অংশ। বিশ্বের স্থলভাগের কোনও অংশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে সাগর। সেখানে মহাসাগরের সঙ্গে কিন্তু স্থলভাগের কোনও যোগ থাকে না। সমুদ্র আসলে প্রবাহিত হয়ে পরবর্তীতে মহাসাগরের সঙ্গে গিয়ে মিশে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন–শাহরুখ খানকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি কী সার্চ করা হয় ‘Google’-এ ? জানলে গা কাঁটা দেবে
আরও পড়ুন-কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন ঐশ্বর্য? ৫০-এর জন্মদিনে ফাঁস অবাক করা তথ্য
এর পাশাপাশি সমুদ্রের তুলনায় মহাসাগরের গভীরতাও বেশি হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠের গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব। তবে মহাসাগরের গভীরতা মাপা বেশ কঠিন। বিশ্বে সমুদ্রের তুলনায় মহাসাগরের সংখ্যা কম। সারা দুনিয়ায় মোট ৫টি মহাসাগর রয়েছে। তবে বিশ্ব জুড়ে সাগর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।
সাগর বা সমুদ্রের সঙ্গে যেহেতু স্থলভাগের যোগ থাকে, আর এর গভীরতাও কম, তাই সূর্যালোক জলরাশি ভেদ করে সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছতে পারে। যার জেরে উদ্ভিদ জগৎ সালোকসংশ্লেষ করতে পারে। আর প্রাণিজগৎও জলের তলায় অবস্থান করতে পারে। তবে অন্যদিকে মহাসাগর যেহেতু স্থলভাগের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এবং এর গভীরতাও অত্যন্ত বেশি, তাই সূর্যালোক জলরাশি ভেদ করে মহাসাগরের তলদেশে পৌঁছতে পারে না। যার ফলে সালোকসংশ্লেষে সেভাবে সম্ভব হয় না। তাই মহাসাগরের সামুদ্রিক জীবজগৎ ব্যাকটেরিয়া, চিংড়ি এবং মাইক্রোস্কোপিক প্ল্যাঙ্কটনেই সীমাবদ্ধ থাকে।
এছাড়াও সমুদ্র থেকে মূলত পর্যাপ্ত খাদ্যের উৎসের সন্ধান পাওয়া যায়। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ তো বেশ ভাল পরিমাণে মেলে! সেই সঙ্গে বাণিজ্য, ভ্রমণ, খনিজ নিষ্কাশন, শক্তি উৎপাদন, যুদ্ধ এবং অবসরযাপনের বিভিন্ন কার্যক্রম কিন্তু সমুদ্রের মাধ্যমে করা সম্ভব।