প্রতি বছর কার্তিক কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীতে পালিত হয় ধনতেরস। সমুদ্র মন্থনের পৌরাণিক কাহিনিটা মনে আছে? সেই যে ধনরত্নভর্তি কলসি নিয়ে দেবী লক্ষ্মী সমুদ্র থেকে উঠলেন? বিশ্বাস করা হয়, লক্ষ্মী ওই ধনরত্নের থেকে সবাইকে কিছু না কিছু দেন। এমত অবস্থায় যদি আপনি নিজের রাশি মেনে এবং সঠিক লগ্নে ধনতেরসের দিন কিছু কেনাকাটা করেন, তা হলে সংসারে সুখ আর সমৃদ্ধি বজায় থাকবে।
advertisement
ধনতেরসে সব চেয়ে বেশি কেনা হয় সোনা আর রুপোর মুদ্রা ও গয়না। এই সময়ে সোনা কেনা অত্যন্ত শুভ এবং লাভদায়ক বলে মনে করেন আপামর ভারতবাসী। তবে অনেকে সোনার জিনিস ছাড়াও ঘর সাজানোর জিনিস, বৈদ্যুতিন জিনিসপত্রও কিনে থাকেন। নতুন ব্যবসা শুরু করার পক্ষে এবং ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করার জন্যও এই দিনটি বেশ শুভ। দেখে নেওয়া যাক কোন রাশির পক্ষে কোন জিনিস কেনা এ বছরে লাভদায়ক হতে পারে!
মেষ রাশি- সোনা ও রুপোর জিনিস, সম্পত্তি।
বৃষ রাশি- রুপো, হিরে, জমি, যানবাহন।
মিথুন রাশি- জমি, সোনা, রুপো, বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র।
কর্কট রাশি- সোনা ও রুপোর জিনিস, স্টক মার্কেট শেয়ার। সম্পত্তি কিনতে বিনিয়োগও করতে পারেন।
সিংহ রাশি- স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারেন। কিনতে পারেন সোনা, তামা, আসবাবপত্র।
কন্যা রাশি - বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র, জমি, সোনা ও রুপো।
বৃশ্চিক রাশি- সোনা, রুপো, জমি ও যে কোনও রকমের বিনিয়োগ।
ধনু রাশি- বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র, সোনা ও জমি।
মকর রাশি- রুপো, জমি ও বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র।
কুম্ভ রাশি- সোনা ও রুপো কিনুন, ফিক্সড ডিপোজিট রাখুন।
মীন রাশি- সব রকমের বিনিয়োগ ও জিনিসপত্র।
তবে এই তালিকা দেখেই কেনাকাটা করতে চলে যাবেন না। ১২ নভেম্বর কিছু কিনলে সকাল ১১.৩০টা থেকে দুপুর ১.০৭-এর মধ্যে কিনবেন। আর ১৩ নভেম্বর কিছু কিনলে ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে কিনবেন। জানি তখন কোনও দোকান খোলে না। এ ক্ষেত্রে দুপুর ১১.০৮ থেকে ১২ .৫১ পর্যন্ত, আবার ৩.৩৮ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেনাকাটা করা যাবে নিশ্চিন্তে।