প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই শুভ দিনে পবিত্র শহর কাশীতে সমস্ত দেব-দেবীদের আগমন ঘটে। আর তাঁরা সকলে মিলে দীপাবলি উৎসব উদযাপন করেন। এই বিশেষ দিনে বারাণসীর প্রতিটা ঘাট প্রদীপের আলোয় সেজে ওঠে। শুধু তা-ই নয়, দেব দীপাবলীর দিনে প্রদীপ দান করারও আলাদাই মাহাত্ম্য রয়েছে।
advertisement
কেন এই উৎসব উদযাপন করা হয়?
পণ্ডিত অবিনাশ মিশ্র বলেন যে, সমগ্র দেশের মধ্যে কাশীতে মহাধুমধাম করে দেব-দীপাবলির উৎসব পালন করা হয়। কিংবদন্তি অনুযায়ী, ত্রিপুরাসুর নামে এক দৈত্য ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিল। এর জেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন মুনি-ঋষিরা। শুধু তা-ই নয়, দেব-দেবীদের মধ্যেও ওই দৈত্যকে নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। ত্রিপুরাসুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সকল দেব-দেবী ভগবান শিবের শরণাপন্ন হন এবং তাঁর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করেন। এরপরেই দৈত্য ত্রিপুরাসুরকে বধ করেন ভগবান শিব। আর তাঁর এই জয় উদযাপন করার জন্যই বারাণসীতে প্রচুর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন দেব-দেবীরা। তারপর থেকেই প্রতি বছর দেব দীপাবলির উৎসব উদযাপনের ধারা চলে আসছে। এই উৎসব আবার ত্রিপুরা উৎসব অথবা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।
দেব দীপাবলির দিনক্ষণ:
পণ্ডিত অবিনাশ মিশ্রর মতে, চলতি বছরে ২৬ নভেম্বর পড়েছে দেব দীপাবলি। আসলে কার্তিক পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ নভেম্বর দুপুর ৩টে ৫৩ মিনিট থেকে। আর এই তিথি স্থায়ী হবে আগামী ২৭ নভেম্বর দুপুর ২টো ৪৬ মিনিট পর্যন্ত। ফলে এমতাবস্থায় চলতি বছরে দেব দীপাবলি উদযাপিত হবে আগামী ২৬ নভেম্বরই।
প্রদোষকালে দীপ দান:
দেব দীপাবলির দিনে প্রদোষ কালে দীপ দান করা অত্যন্ত শুভ বলে গণ্য করা হয়। পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী, আগামী ২৬ নভেম্বর প্রদোষ কাল থাকবে বিকাল ৫টা ০৮ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত। আর দেব দীপাবলির দিনে প্রদীপ দান করার এক বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। তাই এই দিনে গঙ্গা এবং নর্মদা নদীতে স্নান করার পাশাপাশি ঘাটের পাশে ৫টি, ৭টি, ১১টি অথবা নিজের ইচ্ছানুযায়ী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা উচিত।