একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা সাক্ষীর ছেলেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য চিকিৎসা করা হচ্ছে। মাসের পর মাস এই সমস্যার সঙ্গে লড়াই করেছে সে। কখনও ব্যথায় কাঁদছে, কখনও মা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন—দৃশ্যগুলো বেদনাময়। (নীচে রইল সেই ভিডিও)
পারিশ্রমিক নিলেন ১৮ কোটি! নেত্রা মন্তেনার বিয়েতে দেখে নিন কী করলেন জেনিফার লোপেজ!
advertisement
আজ ৫ লক্ষ টাকার সোনা কিনলে ২০৩০ সালে তার দাম কত হবে? বিনিয়োগের আগে জেনে নিন
‘দিল্লি–এনসিআর দূষণ আমার ছেলেকে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত নিয়ে গেল’
সাক্ষী জানান, দুই বছর আগে তাঁদের পরিবার দিল্লিতে আসে। শহরে আসার পর থেকেই ছেলের শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে। আগে যেটা ছিল হালকা অ্যালার্জি, তা ধীরে ধীরে পরিণত হয় লাগাতার শ্বাসকষ্টে।
তিনি বলেন, ধুলো ও দূষণের কারণে ছেলের অ্যালার্জি এতটাই বেড়ে যায় যে স্টেরয়েড স্প্রে, অ্যান্টিবায়োটিক বা হোমিওপ্যাথি—কোনও চিকিৎসাই কাজে লাগেনি।
দূষণের মাত্রা বেড়াতেই ছেলের শ্বাসপ্রশ্বাস আরও কঠিন হয়ে ওঠে। চিকিৎসকেরা জানান—বায়ুদূষণের ধাক্কায় ছেলের অ্যাডিনয়েড ও টনসিল স্টেজ–৪ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। অবস্থার অবনতি দেখে অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনও উপায় নেই।
সাক্ষী বলেন, “ওর নাক–গলার অপারেশন করতে হল। অপারেশনের পর ছেলেকে এত ব্যথায় হাসপাতালে শুয়ে থাকতে দেখে আমাদের হৃদয় ভেঙে গেল।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, “এটাই দিল্লি–এনসিআরের শিশুদের বাস্তবতা। অথচ সরকার নীরব। আমরা ট্যাক্স দিই—এটাই কি আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ?”
পরিবারের যন্ত্রণা নিয়ে সাক্ষীর ক্যাপশন
ভিডিওর সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে সাক্ষী লেখেন—
“দিল্লি–এনসিআর দূষণ শুধু নিঃশ্বাসে নয়—আমার ছেলেকে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত ঠেলে দিয়েছে। এখানে আসার পর থেকেই ওর ক্রনিক ঠান্ডা–কাশি, অ্যালার্জি আর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। কোনও ওষুধ কাজ করেনি—শুধু দূষণ বেড়েছে। হাসপাতালে ওর কান্না আমাদের ভেঙে দিয়েছে। আমরা ট্যাক্স দিই… এর বদলে আমাদের বাচ্চারা এটা পায়।”
প্রতিক্রিয়া: সমর্থন ছেলের জন্য, প্রশ্ন সরকারের কাছে
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই শিশুটির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। অনেকে আবার সরকারের নীরবতা নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
একজন মন্তব্য করেন—“দূষণ নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের প্রতিবাদ ছাড়া উপায় নেই।”
আরও অনেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাকে ট্যাগ করে লেখেন—“দয়া করে ব্যবস্থা নিন। বড়রাও শ্বাস নিতে পারছি না—এই ছোট বাচ্চারা কী করছে ভাবুন তো!”
‘অফিস অর্ধেক কর্মী নিয়ে চলবে, বাকিদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ : দিল্লি সরকারের জরুরি পদক্ষেপ
দূষণের মাত্রা লাগাতার বেড়ে যাওয়ায়, ২৪ নভেম্বর দিল্লি সরকার GRAP স্টেজ III অনুযায়ী একাধিক জরুরি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে।
