সম্প্রতি Quora নামে একটি প্লাটফর্মে এক ব্যক্তি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘পৃথিবীর বুকে একটি বিন্দু থেকে খনন শুরু করলে তার বিপরীতে কী পাওয়া যাবে?’
এমন প্রশ্ন উঠতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অন্য ব্যবহারকারীরা। অলোক রাস্তোগি, জ্যোতি সাহু, নরেন্দ্র এন শুক্লা, রাজেশ মিশ্র-সহ বেশ কিছু Quora ব্যবহারকারী এমন অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন নিজের নিজের মতো করে।
advertisement
অলোক রাস্তোগির Quora-য় তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এভাবে খনন করলে খননকারী ব্যক্তি সরাসরি পৃথিবীর কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন। আর একবার কেন্দ্রের অন্য দিকে চলে গেলে, মহাকর্ষীয় শক্তি খননকারীকে কেন্দ্রের দিকে ফিরিয়ে আনবে। বারবার এমন চলতে থাকলে পৃথিবীর কেন্দ্রের চারপাশে ওঠানামা করতে থাকবেন তিনি।’
আবার নরেন্দ্র এন শুক্লা বলেছেন, পৃথিবীর কেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ হয়ে যাবে, কারণ সেখানে রয়েছে জ্বলন্ত লাভা।
Quora ব্যবহারকারী জ্যোতি সাহু এবং সোনু ভার্মা উভয়েই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে পৃথিবীর অন্য দিকে পাথর এবং জল পাওয়া যেতে পারে। একই প্রসঙ্গে, রাজেশ মিশ্র সাফ জানিয়েছেন এমন করতে চেষ্টা করলে খননকারীর মৃতদেহই শুধু পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: কেন ট্রেনের সামনে ও পিছনে থাকে জেনারেল কামরা? আসল কারণ জানলে চমকে উঠবেন
বাস্তবও তাই। পৃথিবী পৃষ্ঠে খনন শুরু করে বিপরীত দিকে পৌঁছানোর চেষ্টা করা অসম্ভাব্য। কারণ যত গভীরে খনন করা যাবে ততই বাড়তে থাকবে উত্তাপ। পৃথিবীর কেন্দ্র অত্যন্ত উত্তপ্ত। সেখানে কোনও বস্তুরই অস্তিত্ব টিঁকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। প্রচণ্ড তাপে সমস্ত কিছুই গলে যাবে।
আরও পড়ুন: পুজোর মুখেই চরম দুঃসংবাদ পেলেন অনুব্রত মণ্ডল! হাজার চেষ্টাতেও হল না সুরাহা
পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলিত শিলার স্তর পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে কাজ করবে প্রবল মহাকর্ষীয় বল। ফলে এটা কার্যত অসম্ভব।
উত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার কোলা সুপারডিপ বোরহোল প্রায় ৭.৫ মাইল গভীর। মানুষের দ্বারা সৃষ্ট সব থেকে গভীর কূপ এটিই। কিন্তু এই খননও পৃথিবীর উপরি ত্বকের উপরই করা সম্ভব হয়েছে।