তবে এই শহরটি গোয়া বা মুম্বইয়ের মতো নয়। এখানে দিনের বেলা কাজ করার পরেও, রাজস্থানের বিকানেরের অনেক মানুষই সারা রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। এখানকার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বেঞ্চে বসে মানুষ সারা রাত জেগে জেগে দেশ-বিদেশের কথা বলেন। মুম্বই এবং গোয়াতে সাধারণত পর্যটকরা ঘুরে বেড়াতে এবং খাওয়া-দাওয়া করার জন্য জেগে থাকেন। কিন্তু এই গ্রামের মানুষ ঘোরাঘুরির জন্য নয়, জেগে বসে থাকেন ফুটপাতে বসে কথা বলার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুনParenting Tips: শিশু অল্পতেই ভয় পাচ্ছে? খুবই উদ্বেগের, ৩টি সহজ উপায় কাটান এই সমস্যা
বিকানেরের বাসিন্দা জিতু কোছার জানিয়েছেন যে, এখানকার মানুষরা শহরের বেঞ্চে বসে তাঁদের ধর্ম এবং সমাজের পাশাপাশি রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। বিকানের ধর্মনগরী নামেও পরিচিত। এখানে বিকানের দুর্গে প্রতিটি অল্প দূরত্বে চৌকো জায়গা করা রয়েছে। এখানে প্রতি ১০০ থেকে ২০০ ধাপে খানিকটা বসার স্থান রয়েছে। সকালে এসব রাস্তা ফাঁকা থাকে এবং রাত ৮টার পর থেকে এসব রাস্তায় মানুষের ভিড় লেগে থাকে, যা সারা রাত পর্যন্ত চলে। অনেকে রাত দু-তিনটা পর্যন্ত বসেও আলোচনা করেন, আবার অনেকে এইসব বেঞ্চে বসে ঘুমিয়েও থাকেন।
আরও পড়ুনWho is John Abraham Wife: বিপাশাকে ‘ঠকিয়ে’ কাকে বিয়ে করেছিলেন জন আব্রাহাম? একসঙ্গে দেখা গেল তাঁদের
বিকানের পাটা সংস্কৃতি- এখানকার পাট বা সিঁড়ির ধাপগুলি ঐতিহাসিক এবং প্রায় ১০০ থেকে ২০০ বছরের পুরনো৷ বিকানেরের মানুষের কাছে এটি পাটা সংস্কৃতি নামে পরিচিত। চেয়ার, টেবিল ও সোফায় বসার পরিবর্তে এখানে বড় বড় কাঠের তক্তায় বসে দলগত ভাবে আলোচনা-তর্ক করার প্রচলন রয়েছে। স্থানীয় লোকজন এইসব তক্তাকে পাটা বলে। সাত থেকে নয়টি পা বিশিষ্ট তক্তা দিয়ে নির্মিত এই বসার স্থান। এখানকার স্থানীয় লোকজন সময়ে সময়ে এই স্থান রক্ষণাবেক্ষণ করেন। এইসব আসনে একসঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জন পর্যন্ত বসা যায়।