সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ শেয়ার করা একটি সিসিটিভি ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে যে, বেশ ফাঁকা ফাঁকাই ছিল বাসটি। সিটে বসে বসেই একজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত ছিলেন বাসের কন্ডাক্টর। সেই সময় তাঁর কিছুটা পিছনেই দাঁড়িয়েছিল এক তরুণ। যে মুহূর্তে বাসটি থামে, তখনই বাসের দরজা খুলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে এক পা এগিয়ে যায় ওই তরুণ। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগে আচমকাই কন্ডাক্টরের ব্যাগ থেকে চট করে তাঁর ফোনটি তুলে নিয়ে সটান বাস থেকে নেমে পড়ে ওই তরুণ।
advertisement
গোটা ঘটনাই ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। আর এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ইন্টারনেট জুড়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া জমা পড়তে থাকে মন্তব্যের বাক্সে।
একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন যে, “ইতনা চুপকে সে কাম নিপটা দিয়া, এক ভারতরত্ন ইসকো ভি মিলনা চাহিয়ে (কী সন্তর্পণে কাজটা সম্পন্ন করল, ওকে একটি ভারতরত্ন পুরস্কার দেওয়া উচিত)।” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন যে, “বিলকুল টাইম নেহি লাগায়া (বেশি সময়ই নিল না)।” আবার এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ক্যয়া হাত কি সাফাই হ্যায় (হাত সাফাই কী নিপুণ ভাবে করল)।” এক্স প্ল্যাটফর্মে ভাগ করে নেওয়ার পর থেকে ৩৩ হাজারেরও বেশি বার এই ভিডিওটি দেখেছেন মানুষ। হু-হু করে ভিউ বাড়ছে ভাইরাল ভিডিওটিতে।
প্রধান প্রধান শহরগুলি বিশেষ করে দিল্লিতে ফোন ছিনতাই এবং চুরির ঘটনা ব্যাপক ভাবে সংঘটিত হচ্ছে। পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে যে, ২০২৩ এবং ২০২২ সালে প্রায় ৩০ শতাংশ চুরি যাওয়া ফোন উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। ২০২১ সালে এই হার ছিল ২৭ শতাংশ। পুলিশি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ৪৭৪৯টি ফোন ছিনতাই হয়েছিল। এর মধ্যে উদ্ধার করা গিয়েছিল ১৫৭২টি ফোন। এর আগে ২০২৩ সালে চুরি গিয়েছিল ৫৮৭৩টি ফোন আর উদ্ধার করা গিয়েছিল ১৭৭৬টি ফোন। অন্যদিকে ২০২২ সালে চুরি যাওয়া ৬৩৮২টি ফোনের মধ্যে উদ্ধার হয়েছিল ১৯১৯টি ফোন। আর ২০২১ সালে ৬৯৮৯টি চুরি যাওয়া ফোনের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল ১৯৫০টি ফোন।