বিয়ের রাতে বর জানতে পারল কনের গভীর রহস্য। দু-জনের মধ্যে ঝগড়ার পরে আচমকা ব্যালকনির দিকে গেল নতুন কনে। শাড়ি খুলে লাফ দিল বারান্দা থেকে। তবে শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ে যায় হাতেনাতে।
আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়েটি সম্পন্ন হয়। লক্ষ টাকা কন্যাপন নিয়ে হওয়া বিবাহ অভিযানের শেষে ভরত যখন ফুলশয্য়ার ঘরে যায়, তখনই জানতে পারে সেই সাংঘাতিক কথা। দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। সুমন ভরতকে ঘরে আটকে রেখে তার শাড়ি বেঁধে বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে। বন্ধু সন্দীপ এবং রবি তাকে ধরার জন্য নীচে দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু লাফ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দুটি পা ভেঙে যায়। পালাতে পারেনি। শব্দ শুনে ভরতের পরিবার জেগে ওঠে এবং সুমনকে ধরে ফেলে। অন্য অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
advertisement
সুমনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, সুমন ইতিমধ্যেই বিবাহিত ছিল, কিন্তু সে আদালতে জাল নথি জমা দিয়েছিল। পুরো গ্যাংয়ের মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশের কৌশাম্বীর বাসিন্দা সন্দীপ শর্মা, বিহারের রবি ও রুবি দেবী এবং যোধপুরের নন্দকিশোর সোনি ও জিতেন্দ্র সোনি। পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে।
