সূত্রের খবর, যমজ সন্তানের জন্মের পর যখন ডিএনএ পরীক্ষা করা হয় তখন চিকিৎসকেরা আবিষ্কার করেন, উভয় বাচ্চার বাবা আলাদা। ঘটনায় মাও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন৷ তিনি বলেন, তিনি কখনও ভাবেননি যে এমন কিছু সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ শান্ত, নির্জনতাই এখানে সঙ্গী, নিরিবিলি পুজোর ছুটি কাটাতে ডেস্টিনেশন গোবর্ধনপুর সমুদ্র সৈকত
advertisement
কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন একই দিনে দুই পুরুষের সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হন মহিলা। নয় মাস পর তিনি যমজ সন্তানের জন্ম দেন। ডিএনএ পরীক্ষার পরে জানা যায়, তিনি যাকে বাবা বলে ভাবছেন, তাঁর সঙ্গে মাত্র একটি শিশুর ডিএনএ মিলেছে।
আরও পড়ুনঃ স্থাপত্যের প্রতিটি ইটে ঠাসা ইতিহাস, পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন মুর্শিদাবাদের 'চার বাংলা মন্দির'
ঘটনাটি বিরল হলেও, অবিশ্বাস্য নয়। এটি তখনই ঘটে যখন যৌন মিলনের সময় দুটি ডিম্বাণু ভিন্ন ব্যক্তির শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়। এর বৈজ্ঞানিক পরিভাষা হল হেটেরোপ্যারেন্টাল সুপারফেকুন্ডেশন। মহিলার চিকিৎসক ড. তুলিও জর্জ ফ্রাঙ্কো বলেন, "একই মায়ের থেকে দুটি ডিম্বাণু ভিন্ন পুরুষের দ্বারা নিষিক্ত হলে এটি ঘটতে পারে। শিশুরা মায়ের জেনেটিক উপাদান ভাগ করে নেয়, কিন্তু তারা বিভিন্ন প্লাসেন্টায় বেড়ে ওঠে।" তিনি এও জানান, বিশ্বে হেটেরোপ্যারেন্টাল সুপারফেকুন্ডেশনের মাত্র ২০টি ঘটনা রয়েছে।