বিহারের সারান জেলার বাসিন্দা রাজকুমার সিং। তাঁর সাত মেয়ে এবং এক ছেলে। রাজকুমারের পরপর সাতটি মেয়ে হয়। প্রতিবেশীরা ঠাট্টা-তামাশা করত। বলত, ‘এবার খরচ করো’। রাজকুমারের আত্মীয়স্বজনরাও চিন্তায় ছিলেন, ‘‘সব সঞ্চয় মেয়েদের বিয়ে দিতেই খরচ হয়ে যাবে।’’ রাজকুমারের দুশ্চিন্তাও কম ছিল না। কিন্তু আজ রাজকুমারের ভাগ্যকে হিংসে করে পাড়া-প্রতিবেশীরা। বলে, হ্যাঁ, মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করেছে বটে।
advertisement
সাত মেয়েই পুলিশ অফিসার: বিহারের সারান জেলার ছোট্ট গ্রামে থাকেন রাজকুমার। আটার মিল আছে তাঁর। সেটাই তার উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন। এক সময় স্ত্রী ও আট সন্তান নিয়ে এক কামরার বাড়িতে থাকতেন। পাড়া-প্রতিবেশীরা শুধু রাজকুমার নয়, তাঁর সাত মেয়েকেও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করত। কিন্তু আজ তাঁর সব মেয়েই পুলিশে চাকরি করেন। মেয়েরা বাবার জন্য বাড়িতে দুটো ঘর করেছেন। যে ব্যক্তি একসময় মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন, সেই মেয়েরাই আজ বাবার পাশে লাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন- শীতে ত্বককে তুলতুলে রাখতে নারকেলের তেলের জুড়ি নেই, তবে ব্যবহারের রহস্যটাও না জানলেই নয়
বিভিন্ন বিভাগে পোস্টিং: রাজকুমারের সাত মেয়েই পুলিশের চাকরির পরীক্ষায় হাসতে হাসতে পাশ করেছেন। বড় মেয়ে রানি বিহার পুলিশে, দ্বিতীয়জন এসএসবি-তে, তৃতীয়জন সোনি সিআরপিএফ-এ, চতুর্থজন প্রীতি ক্রাইম ব্রাঞ্চে, পঞ্চমজন পিঙ্কি আবগারি পুলিশে, ষষ্ঠজন বিহার পুলিশে কর্মরত এবং সপ্তম জন নন্হি কুমারী জিআরপি-তে চাকরি করেন। এখন পাড়া-প্রতিবেশীরা আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করার সাহস পায় না। বরং রাজকুমারের উদাহরণ দেয়। যাঁরা কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করেন, এই সাত বোন তাঁদের কাছেও মূর্তিমান জবাব!