ভিয়েনার মতে, তিনি নিজেকে এমন একটা রূপে দেখতে চান যা ‘চরম’, ‘ভিন্ন’ এবং ‘আলোচনার কেন্দ্রে’। এই সৌন্দর্য অভিযানে ১৮ বছর বয়সে প্রথম কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি প্রায় ১.৩ কোটি টাকা (প্রায় $১,৬০,০০০) খরচ করেছেন, যার মধ্যে ঠোঁটেই গিয়েছে প্রায় £৩৭,০০০।
আরও পড়ুন: চোখের দুর্বলতাই দেবে ডিমেনশিয়ার ইঙ্গিত? আলঝাইমারের ১২ বছর আগেই মিলতে পারে সঙ্কেত…
advertisement
তার শরীরে আজ শুধুই ঠোঁট নয়—ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট, গাল-চিবুক প্রতিস্থাপন, আই লিফট, বাট লিফট ইত্যাদি মিলিয়ে যেন প্লাস্টিকের সংগ্রহশালা। নিজেই বলেন, “আমার শরীরে এখন প্লাস্টিকই বেশি, চর্বি নয়।”
ভিয়েনাকে নিয়ে অনলাইনে হাসিঠাট্টার শেষ নেই। কেউ তার ঠোঁটকে ‘মোমো’র মতো বলেছেন, কেউ আবার তার সার্জেনকে দায়ী করতে বলেছেন। খাওয়া, কথা বলা এমনকি নিঃশ্বাস নিতে গেলেও সমস্যায় পড়তে হয় ভিয়েনাকে। তবুও তিনি বলেন, “আমি অনুশোচনা করি না। আমি যেমন নিজেকে দেখতে চাই, সেই রূপেই নিজেকে গড়ে তুলছি।”
আরও পড়ুন: ব্রেস্ট ক্যানসারের কোষকে খুঁজে খুঁজে মারবে বিছের বিষ! মারণ রোগের চিকিৎসায় যুগান্তকারী আবিষ্কার…
তার এই চরম রূপান্তরের পেছনে একটাই উদ্দেশ্য—বিশ্বের নজরে থাকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠা ভিয়েনা জানান, “আমি থামব না। আরও বড় ঠোঁট চাই। চূড়ান্ত পর্যায়ের বিউটি আমার লক্ষ্য।”
এই ঘটনা সৌন্দর্যের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি, প্লাস্টিক সার্জারির ঝুঁকি এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে সবাইকে। বর্তমান সমাজে যখন ‘চেহারা’র গুরুত্ব অনেক, তখন ভিয়েনার মতো উদাহরণ একদিকে যেমন অনুপ্রেরণা, অন্যদিকে সতর্ক সংকেতও।