অনেক কৃষকই ঐতিহ্যবাহী চাষের পরিবর্তে নগদ চাষে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন, যা তাঁদের অর্থনৈতিক সুরাহার পথ দেখাবে। এমনই একজন কৃষক হলেন রাজস্থানের দিগ জেলার মতিরাম। কম খরচে টম্যাটো চাষ করে দ্বিগুণ লাভ পাচ্ছেন তিনি।
কৃষক মতিরাম জানান, আগে তিনি গ্রামের অন্য কৃষকদের জমি লিজ দিয়ে দিতেন। কিন্তু নিজে চাষ করতেন না। জমি ইজারা নিয়ে অন্য কৃষকেরা সবজি চাষ করে ভালই লাভ করতেন। সেই দিকে নজর রেখেই মতিরাম নিজে চাষ করার কথা ভাবতে শুরু করেন। জমি ইজারা না দিয়ে নিজে টম্যাটো চাষ শুরু করেন। টম্যাটো এমন একটি জিনিস যা ইদানীং নিত্য ব্যবহার্য খাদ্যপণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ঘরে ঘরে স্যালাড, চাটনি, আচার, স্যুপ, এমনকী সবজি হিসেবেও টম্যাটোর ব্যবহার হয়। ফলে চাহিদা তুঙ্গে। মতিরামের দাবি চাষ করে দু’লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন - রাজভবনে পালিত হবে ‘বাংলার নববর্ষ’, সেদিন থেকেই সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে রাজভবন
আরও পড়ুন - শুষ্ক গরম, কলকাতায় লাফিয়ে বাড়বে তাপমাত্রা, শহর পুড়ছে ৩৮ ডিগ্রিতে, বাঁকুড়ায় প্রায় ৪০
মতিরামের প্রায় চার একর জমি রয়েছে। এতদিন পর্যন্ত মতিরাম শহরেই বাস করতেন এবং নিজের জমি অন্য কৃষকদের এক বছরের জন্য ইজারা দিতেন। সেই জমিতে শাকসবজি চাষ করে কৃষকরা মুনাফা করতে পারতো। এবার জমি ইজারা না দিয়ে চার একর জমিতে ৪০০ গ্রাম টম্যাটোর অর্গানিক বীজ এনে চাষ শুরু করেন মতিরাম। চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন তিনি। স্থানীয় এলাকা এবং বাইরের বাজারে বিক্রি করে তাঁর লাভও হয়েছে।
চার একর জমি থেকে ৮-১০ লাখ টাকা আয়
এক একর জমিতে ২৫০ থেকে ৩০০ কুইন্ট্যাল টম্যাটো উৎপন্ন হয়। এই চাষে জৈব সার ব্যবহার করেছেন মতিলাল। রাসায়নিক সার দিয়ে উৎপাদিত টম্যাটোর তুলনায় এই টম্যাটোর বাজারমূল্য অনেকটা বেশি, প্রায় দ্বিগুণ।
ফসলের দাম ভাল পাওয়ায় একর প্রতি দু’লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হয়, ফলে চার একর জমিতে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। মতিরামের লাভ দেখে অন্য কৃষকরাও জমি ইজারা নিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমিতে অর্গানিক টম্যাটো চাষ করার কথা ভাবছেন।