এই প্রকল্পটি আসলে কী?
এটি পাইলট প্রজেক্ট। এই প্রকল্পটি প্রায় তিন মাস ধরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে চিকিৎসকরা রোগীর সামনে না গিয়েই রোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে সক্ষম হবেন। আসলে সিনিয়র ডাক্তাররা ডিউটি শেষ হওয়ার পরে যখন বাড়ি চলে যান এবং রোগীদের উপর নজরদারির দায়িত্ব তখন গিয়ে পড়ে জুনিয়র ডাক্তার বা নার্সিং কর্মীদের উপর। এই ধরনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
advertisement
ফলে রোগীর অবস্থার অবনতি হলেও তাৎক্ষণিক ভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আর সমস্যা থাকে না। এছাড়া এই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। অন্যদিকে তার তুলনায় ডাক্তার এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের সংখ্যা কম।
রোগীর অবস্থা জানান দেবে সেন্সর চিপ: এখন নতুন সিস্টেমের আওতায় নার্সিং স্টাফরা রোগীর শরীরে একটি বিশেষ সেন্সর চিপ স্থাপন করবেন। এই চিপটি রোগীর ইসিজি, হার্ট রেট, অক্সিজেন স্যাচুরেশন এবং রক্তচাপের তথ্য ক্রমাগত রেকর্ড করে রাখবে। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে গেলেই সংশ্লিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে ডাক্তারাববু তাৎক্ষণিক সতর্কতাও পেয়ে যাবেন। হাসপাতালের মধ্যে কিংবা বাইরে থাকলেও তিনি নিজের মোবাইলে রোগীর অবস্থা দেখতে পারবেন এবং চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন। এই সিস্টেমের মাধ্যমে সঙ্কটজনক রোগীরা সময়মতো উন্নত চিকিৎসা পেতে সক্ষম হবেন এবং ডাক্তারদের উপর চাপও অনেকাংশে কমবে।
প্রতিদিন হাসপাতালে হাজার হাজার রোগীর ভিড় জমে: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন যে, এই পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ সফল হলে হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ডে এটি কার্যকর করা হবে। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ কার্ডধারী ESIC হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। প্রতিদিন দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম, পালওয়াল, হাতিন, হোডাল-সহ বেশ কিছু জেলা এমনকী আশপাশের রাজ্য থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার রোগী প্রত্যহ এখানে আসেন। ফলে সেক্ষেত্রে এই নতুন প্রযুক্তি চিকিৎসা প্রক্রিয়াকে সহজ এবং নিরাপদ করে তুলতে পারে। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. সন্দীপ কুমার বলেন, এই ব্যবস্থা ডাক্তার এবং রোগীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি হিসাবে প্রমাণিত হবে। এতে চিকিৎসার গুণমানও বৃদ্ধি পাবে এবং সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।