জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাতিবান্ধা উপজেলার এক মেয়ের সঙ্গে আরিয়ান মির্জার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর দীর্ঘদিন থেকে তাঁদের মধ্যে এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সেই প্রেমের সম্পর্কের টানেই আরিয়ান অবৈধ পথে হাতিবান্ধা উপজেলার কোনও এক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এর পর সোজা চলে যান তাঁর প্রেমিকার বাড়িতে। খবর পেয়ে হাতিবান্ধা থানা–পুলিশ অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে আরিয়ান মির্জাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে থানায় মামলা করে গ্রেফতার দেখিয়ে লালমণিরহাট আদালতে পাঠায় পুলিশ।
advertisement
আরিয়ান মির্জার মা আয়েশা বিবি বলেন, ‘’বহরমপুরের বাড়ি থেকে অসমের গুয়াহাটি যায়। এর পরে সেখান থেকে কাজে মেঘালয় যাচ্ছে বলে পর দিন জানায়।’’ এর পরের দিন সকালে বাংলাদেশের হাতিবান্ধা থানার পুলিশের কাছ থেকে আয়েষা মির্জা জানতে পারেন যে, আরিয়ান মেঘালয় থেকে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ চলে গিয়েছেন তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এবং বেআইনিভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই পরিবারের সদস্যরা বহরমপুর থানায় দারস্থ হন। উৎকন্ঠায় আছে গোটা পরিবার। ছেলে ফিরে আসুক চাইছেন পরিবারের সকলেই।
বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, আরিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের লালমণিরহাটের ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর-বিছনদই এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই ঘনিষ্ঠতা এবং প্রেম। শেষ পর্যন্ত ওই প্রেমের টানেই তিনি সীমান্ত অতিক্রম করেছেন কাঁটাতার পেরিয়ে ।