কিন্তু কী এমন ঘটেছে সেখানে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ভূত-প্রেতের উপস্থিতির বিভ্রমে আচমকাই স্কুলের পড়ুয়ারা একে অপরের গলা টিপে ধরতে থাকে। এরপরেই একে একে সংজ্ঞা হারাতে থাকে তারা। আর এই গোটা ঘটনা দেখে স্কুলে শুরু হয়ে যায় হইচই। আর চাপা থাকেনি কিছু। হু-হু করে গ্রামে চাউর হয়ে যায় এই আজব ঘটনার কথা। ফলে গ্রামবাসী এবং ওই শিশুদের পরিবারে শুরু হয় তীব্র চাঞ্চল্য।
advertisement
আরও পড়ুন– পাকিস্তানে ফের এমএমএস কেলেঙ্কারি ! আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস জনপ্রিয় টিকটকারের
বরেলির নবাবগঞ্জ থানা এলাকার ইন্ধ জাগিরের সরকারি জুনিয়র হাইস্কুলের এই ঘটনার কথা প্রচারের আলোয় এসেছে। সেখানকার পড়ুয়ারা অদ্ভুত আচরণ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সেই খবর পেয়ে অবিলম্বে স্কুলে পৌঁছে যায় মেডিকেল টিম। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অসুস্থ পড়ুয়াদের। আর ভয়ঙ্কর এই ঘটনার পরে স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের মধ্যেও আতঙ্কের উদ্রেক হয়।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শিশুরা যা বলেছে, তা শুনে সকলেরই বুক কেঁপে ওঠে। স্কুলের পড়ুয়া শিশুদের দাবি, এক মহিলা তাদের ভয় দেখাচ্ছিল। ওই মহিলার হাতে ছিল লম্বা লম্বা নখ। এরপর স্কুলে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে, ওই দিন মিড-ডে মিলে আলু আর ভাত খেয়েছিল পড়ুয়ারা। এরপরে মিড-ডে মিলের খাবার পরীক্ষা করে দেখা হয়। দেখা যায়, খাবারে কোনও সমস্যা নেই।
যে চিকিৎসকেরা বাচ্চাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন, তাঁরা বলেন যে, শিশুদের মধ্যে কোনওরকম রোগের উপসর্গ নেই। তবে তাঁদের মতে, ঠান্ডা এবং ক্লান্তির কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকী চিকিৎসকরা এ-ও মনে করছেন যে, গ্রুপ হিস্টেরিয়া বা অনেকের একসঙ্গে হিস্টেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে গোটা গ্রুপটা একই রকম আচরণ করতে শুরু করে। এই বিষয়ে আরও তথ্য দিয়ে ওই চিকিৎসক জানান য, কখনও কখনও একসঙ্গে আলোচনা এবং পরিবারের মধ্যে থাকা কুসংস্কারের প্রভাবে এমন ঘটনা দেখা দিতে পারে।
এদিকে এই ঘটনার পরেই এলাকায় চাউর হয়ে গিয়েছে যে, কোনও অদৃশ্য শক্তির আবির্ভাব ঘটেছে এবং তা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাই কোনও রকম গুজবে কান না দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন এসডিএম।