সবাই SIP করেন কিন্তু লাভ ‘এতে’ বেশি পাওয়া যায়, প্রতি মাসে বিনিয়োগেরও ঝামেলা নেই, দেখে নিন বিশদে

Last Updated:
SIP vs Lumpsum: দীর্ঘমেয়াদে মোটা রিটার্ন মানেই মিউচুয়াল ফান্ড। ইদানীং মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীরাও এসআইপির মাধ্যমে এতে বিনিয়োগ করছেন। এসআইপিতে প্রতি মাসে বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। এর ওপর মেলে কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধা। বিনিয়োগ ধীরে ধীরে মোটা কর্পাসে পরিণত হয়।
1/7
দীর্ঘমেয়াদে মোটা রিটার্ন মানেই মিউচুয়াল ফান্ড। ইদানীং মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীরাও এসআইপির মাধ্যমে এতে বিনিয়োগ করছেন। এসআইপিতে প্রতি মাসে বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। এর ওপর মেলে কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধা। বিনিয়োগ ধীরে ধীরে মোটা কর্পাসে পরিণত হয়।
দীর্ঘমেয়াদে মোটা রিটার্ন মানেই মিউচুয়াল ফান্ড। ইদানীং মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীরাও এসআইপির মাধ্যমে এতে বিনিয়োগ করছেন। এসআইপিতে প্রতি মাসে বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। এর ওপর মেলে কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধা। বিনিয়োগ ধীরে ধীরে মোটা কর্পাসে পরিণত হয়।
advertisement
2/7
এসআইপির পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আরও একটি পদ্ধতি রয়েছে। সেটা হল লাম্পসাম। এতে পুরো টাকা একসঙ্গে বিনিয়োগ করতে হয়। ব্যস, এরপর টাকা বাড়তে থাকে। বিনিয়োগকারীর আর কোনও কাজ নেই। প্রতি মাসে বিনিয়োগের ঝঞ্ঝাটও পোহাতে হয় না। কিন্তু এই দুটি পদ্ধতির মধ্যে কোনটা লাভজনক?
এসআইপির পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আরও একটি পদ্ধতি রয়েছে। সেটা হল লাম্পসাম। এতে পুরো টাকা একসঙ্গে বিনিয়োগ করতে হয়। ব্যস, এরপর টাকা বাড়তে থাকে। বিনিয়োগকারীর আর কোনও কাজ নেই। প্রতি মাসে বিনিয়োগের ঝঞ্ঝাটও পোহাতে হয় না। কিন্তু এই দুটি পদ্ধতির মধ্যে কোনটা লাভজনক?
advertisement
3/7
এসআইপি এবং লাম্পসামের পার্থক্য: এসআইপিতে সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিনিয়োগ করতে হয়। যাঁরা অল্প অল্প টাকা জমিয়ে মোটা কর্পাস বানাতে চান, তাঁদের জন্য লাভজনক। লাম্পসামে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয় একসঙ্গে। যাঁদের হাতে বড় পুঁজি রয়েছে, তাঁদের জন্য এটা আদর্শ।
এসআইপি এবং লাম্পসামের পার্থক্য: এসআইপিতে সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিনিয়োগ করতে হয়। যাঁরা অল্প অল্প টাকা জমিয়ে মোটা কর্পাস বানাতে চান, তাঁদের জন্য লাভজনক। লাম্পসামে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয় একসঙ্গে। যাঁদের হাতে বড় পুঁজি রয়েছে, তাঁদের জন্য এটা আদর্শ।
advertisement
4/7
এসআইপিতে মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। লাম্পসামে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০০ টাকা। নিয়মিত বিনিয়োগ করতে হয় বলে এসআইপি থেকে কস্ট অ্যাভারেজিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। বাজার পড়লে কম দামে বেশি ইউনিট পাওয়া যায়। আবার উল্টোটাও হয়। বাজার চাঙ্গা থাকলে কম ইউনিট মেলে। কস্ট অ্যাভারেজিংয়ের সুবিধা লাম্পসামে পাওয়া যায় না। বিনিয়োগের সময় নেট অ্যাসেট ভ্যালুর উপর ভিত্তি করে ইউনিট পান বিনিয়োগকারী। ফলে কোন সময়ে লাম্পসাম বিনিয়োগ করা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
এসআইপিতে মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। লাম্পসামে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০০ টাকা। নিয়মিত বিনিয়োগ করতে হয় বলে এসআইপি থেকে কস্ট অ্যাভারেজিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। বাজার পড়লে কম দামে বেশি ইউনিট পাওয়া যায়। আবার উল্টোটাও হয়। বাজার চাঙ্গা থাকলে কম ইউনিট মেলে। কস্ট অ্যাভারেজিংয়ের সুবিধা লাম্পসামে পাওয়া যায় না। বিনিয়োগের সময় নেট অ্যাসেট ভ্যালুর উপর ভিত্তি করে ইউনিট পান বিনিয়োগকারী। ফলে কোন সময়ে লাম্পসাম বিনিয়োগ করা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
advertisement
5/7
বাজার উঠুক বা পড়ুক, এসআইপিতে বিনিয়োগ চলতে থাকে। ফলে আলাদা করে বাজারের সময় নির্ধারণের প্রয়োজন হয় না। লাম্পসাম বিনিয়োগ থেকে লাভ পেতে হলে বাজার সম্পর্কে জ্ঞান এবং সঠিক সময়ে বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বাজার উঠুক বা পড়ুক, এসআইপিতে বিনিয়োগ চলতে থাকে। ফলে আলাদা করে বাজারের সময় নির্ধারণের প্রয়োজন হয় না। লাম্পসাম বিনিয়োগ থেকে লাভ পেতে হলে বাজার সম্পর্কে জ্ঞান এবং সঠিক সময়ে বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
6/7
এখন প্রশ্ন হল, এসআইপি না কি লাম্পসাম, কোনটা থেকে রিটার্ন বেশি পাওয়া যায়? দেখা গিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট মিউচুয়াল ফান্ডে যদি একই পরিমাণ অর্থ কেউ বিনিয়োগ করেন, তাহলে লাম্পসাম থেকে তিনি বেশি রিটার্ন পাবেন। কারণ লাম্পসামে প্রথম দিন থেকেই পুরো বিনিয়োগের উপর রিটার্ন তৈরি হতে থাকে। এসআইপিতে তা কয়েক বছর পর শুরু হয়।
এখন প্রশ্ন হল, এসআইপি না কি লাম্পসাম, কোনটা থেকে রিটার্ন বেশি পাওয়া যায়? দেখা গিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট মিউচুয়াল ফান্ডে যদি একই পরিমাণ অর্থ কেউ বিনিয়োগ করেন, তাহলে লাম্পসাম থেকে তিনি বেশি রিটার্ন পাবেন। কারণ লাম্পসামে প্রথম দিন থেকেই পুরো বিনিয়োগের উপর রিটার্ন তৈরি হতে থাকে। এসআইপিতে তা কয়েক বছর পর শুরু হয়।
advertisement
7/7
ধরে নেওয়া যাক, ১০ বছর মেয়াদে কেউ প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেন। তাহলে তাঁর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ লাখ টাকা। এখন ১২ শতাংশ গড় রিটার্ন ধরলে সুদ থেকে মিলবে ৫,৬১,৭০০ টাকা। তাহলে সুদ এবং আসল মিলিয়ে তিনি ১১,৬১,৭০০ টাকা হাতে পাবেন। অন্য দিকে, ১০ বছরের জন্য ৬ লাখ টাকার লাম্পসাম করলে ১২ শতাংশ গড় রিটার্নের হিসেবে তিনি পাবেন ১৮,৬৩,৫০০ টাকা। বাড়তি লাভ হবে ৭ লাখ টাকা।
ধরে নেওয়া যাক, ১০ বছর মেয়াদে কেউ প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেন। তাহলে তাঁর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ লাখ টাকা। এখন ১২ শতাংশ গড় রিটার্ন ধরলে সুদ থেকে মিলবে ৫,৬১,৭০০ টাকা। তাহলে সুদ এবং আসল মিলিয়ে তিনি ১১,৬১,৭০০ টাকা হাতে পাবেন। অন্য দিকে, ১০ বছরের জন্য ৬ লাখ টাকার লাম্পসাম করলে ১২ শতাংশ গড় রিটার্নের হিসেবে তিনি পাবেন ১৮,৬৩,৫০০ টাকা। বাড়তি লাভ হবে ৭ লাখ টাকা।
advertisement
advertisement
advertisement