বরেলি, উত্তর প্রদেশ: বৃদ্ধ পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়া ভারতীয় সমাজে নতুন কোনও ঘটনা নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এবং বর্তমানেও তার নজির মেলে আকছার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের বিয়ে সম্পন্ন হয় কন্যাদায় উদ্ধারের জন্য। কখনও কখনও আবার মেয়ের আত্মীয়রাই টাকার লোভে তাকে অপাত্রে তুলে দিচ্ছে, এমন ঘটনাও জানা যায়। ঠিক সেই রকমই এক ঘটনা এবার প্রকাশ্যে এল। যেখানে টাকার লোভে বৃদ্ধ পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, অসফল হওয়ায় এখন মেয়েকে হত্যার হুমকি দিয়েছে পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন– প্রাক্তন প্রেমিককে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন ! গ্রেফতার অভিনেত্রী নার্গিস ফাকরির বোন
জানা গিয়েছে যে ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের বরেলির। এক নববধূ যখন বরেলির এসএসপি এবং ডিএম-এর কাছে আত্মরক্ষার আর্জি জানিয়ে শরণাপণ্ণ হন, তখন এই চাঞ্চল্যকর, ন্যক্কারজনক ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। ওই নববধূর নাম বৈষ্ণবী। তিনি উত্তর প্রদেশের বরেলির কিলা থানার চন্দননগরের বাসিন্দা। বৈষ্ণবী তাঁর পুরো পরিবারের বিরুদ্ধেই কার্যত তাঁকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে এই ঘটনার সঙ্গে এক দিকে যেমন তাঁর বাবা এবং ভাই যুক্ত রয়েছেন, অন্য দিকে তেমনই এই সম্বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁর মাও!
পুলিশের কাছে বিবৃতিতে বৈষ্ণবী জানান যে তাঁর বাবা-মা তাঁকে এক বৃদ্ধ আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এই বৃদ্ধ আত্মীয়ের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে তাঁর বাবা-মা তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে নিজেকে বাঁচাতে দিন কয়েক আগে ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেন কিলা থানা এলাকারই চন্দননগরের বাসিন্দা সুজলকে।
নববধূ বৈষ্ণবীর দাবি, সুজলকে বিয়ে না করলে তাঁর বাবা-মা তাঁর অমতেই তাঁকে ওই বৃদ্ধ পাত্রের হাতে তুলে দিতেন। বৈষ্ণবী এও অভিযোগ করেন যে তিনি যেহেতু তাঁর বাবা-মা এবং ভাইয়ের কথা শোনেননি, এখন তাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ পোষণ করতে শুরু করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা বৈষ্ণবী এবং তাঁর স্বামী সুজলকে দেখামাত্র গুলি করে হত্যা করবেন। সঙ্গত কারণেই বৈষ্ণবী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন এবং নিজের এবং স্বামীর নিরাপত্তার জন্য বরেলির এসপি অনুরাগ আর্য এবং ডিএমের কাছে আবেদন করেছেন। তবে, শুধুই বৈষ্ণবী এবং সুজলকে হত্যার চেষ্টা নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গেও তাঁর পরিবার অপ্রীতিকর কিছু করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নববধূ। বর্তমানে বৈষ্ণবীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।