উত্তর প্রদেশের বাহরাইচ জেলার তেজওয়াপুর ব্লকের ইমাম খান পুরওয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবীণ কৃষক সাত্তার। সেই ছোটবেলা থেকে তিনি চাষের কাজ করছেন। প্রায় তিরিশ বছর ধরে ডাল চাষ করছেন তিনি। কিন্তু পথচলতি পশুরা চাষের জমিতে ঢুকে ফসল তছনছ করে দেয় বেশিরভাগ সময়ই। আর ফসল বাঁচাতে একটা জুগাড় অবলম্বন করেছেন সাত্তার। আর তার জন্য ডালের ক্ষেতের বিভিন্ন জায়গায় তিনি সর্ষে ছড়িয়ে রেখে দিয়েছেন।
advertisement
পশুরা ফিরেও তাকাবে না:
আসলে সর্ষে খায় না গবাদি পশুরা। কারণ সর্ষে আসলে স্বাদে তেতো। আর তাই এই জুগাড় অবলম্বন করেছেন সাত্তার। যা বেশ ভাল ভাবেই কাজ করেছে। ফলে এখন এই পন্থার মাধ্যমেই ডাল চাষ করছেন সাত্তারের মতো কৃষকরা। কয়েক বছর ধরে তাঁরা ডাল চাষ করার সময় ক্ষেতের মাঝে মাঝে সর্ষেরও চাষ করছেন। যার জেরে পশুদের হামলার হাত থেকে তো ফসলকে বাঁচানোই যাচ্ছে, সেই সঙ্গে মিলছে তৈলবীজ ফসলও।
আরও পড়ুন– এমনও হয়! ‘মানুষটা ভাল ছিল, কিন্তু এ কী…’ কোটিপতির উইল শুনে সবার মাথায় হাত
কীভাবে কাজ করে জুগাড়?
বাহরাইচের বাসিন্দা প্রবীণ কৃষক সাত্তার বলেন যে, বিগত তিরিশ বছর ধরে তিনি ডাল চাষ করছেন। যদিও সেই ফসলের বেশিরভাগটাই নষ্ট করে দিত পথচলতি পশুরা। সেই সময় তিনি লক্ষ্য করেন যে, আশপাশের এলাকায় রয়েছে সর্ষের ক্ষেত। যেদিকে সেই গবাদি পশুরা ফিরেও তাকাত না। এমন দৃশ্য দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আর ডালের জমির মাঝে মাঝে থাকা অল্প জায়গা দিয়েই সাত্তার সর্ষে গাছ লাগিয়ে দেন। এই জুগাড় কিন্তু ভাল ভাবে কাজে লেগে যায়। বর্তমানে পথচলতি পশুদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে সমস্ত ফসল। এমনকী, তারা সেই জমির কাছে পর্যন্ত ঘেঁষছে না।
ডাবল ধামাকা:
একেই বলে, এক ঢিলে দুই পাখি মারা! ওই জমিতে ডালের ফলন তো ভাল হচ্ছেই, সেই সঙ্গে সর্ষের বীজ থেকে ভাল পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে তেলও। সাত্তার বলেন যে, আসলে সর্ষে তেতো লাগে পশুদের কাছে। ফলে তারা সেটা খেতে পারে না। আর ডালের ক্ষেতে সর্ষের চাষ করার ফলে ক্ষেতের আশপাশে ঘুরতেও দেখা যায় না পশুদের।