শুধু তাই নয়, অগাস্ট মাসের আকাশে তাকালে দেখা যাবে উল্কা-বৃষ্টিও। গত ১৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এই উল্কাবৃষ্টি। ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা দেখা যেতে পারে। তবে উল্কাপাত সব থেকে ভাল দেখা যাবে ১২ ও ১৩ অগাস্ট। চমকের এখানেই শেষ নয়। আগামী ২৭ অগাস্ট সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ শনি দেখা দেবে সব থেকে বড় আকারে। এমনকী এর বলয় এবং ৮৩টি উপগ্রহের কয়েকটিকেও দেখা যেতে পারে।
advertisement
উল্কা-বৃষ্টি খুব বিরল ঘটনা নয়। পৃথিবী যখনই ধূমকেতুর পুচ্ছের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখনই এমন ঘটনা দেখা যায়। প্রতি বছরই সূর্য প্রদক্ষিণ করতে করতে সুইফট-টাটল নামক ধূমকেতুর ধুলোকণা ভরা মেঘ পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলের সঙ্গে ধাক্কা খায়। তার ফলেই ছোট ছোট মহাজাগতিক বস্তুকণা পুড়ে গিয়ে পৃথিবীপৃষ্ট থেকে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। উত্তর গোলার্ধে যখন গ্রীষ্ম, তখনই স্পষ্ট হয়ে ওঠে এই উল্কা পিণ্ডগুলি। এদের গতিবেগ প্রায় ১,৩২,০০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। এই উল্কাবৃষ্টির নাম পারসেইডস।
আগামী ১২ ও ১৩ অগাস্ট উল্কাপাত দেখার সর্বোত্তম সময়। এই সময় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫০ থেকে ৭৫টি উল্কা দেখা যেতে পারে। সব থেকে বড় বিষয় হল ১ অগাস্ট পূর্ণিমা। কৃষ্ণ দ্বাদশীর পরে রাতের আকাশে চাঁদের আলো প্রায় থাকবে না বললেই চলে। তাই উল্কাবৃষ্টি আরও মনোহর হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন, নিম্নচাপের ছোবল, সাইক্লোনিক সার্কুলেশন, ঝোড়ো হাওয়া, দামাল বৃষ্টি, মেগা আপডেট
আরও পড়ুন, ‘হাফপ্যান্ট দেওয়া হয়..’, সেন্ট্রাল লকআপে থাকার অভিজ্ঞতা বিধানসভায় তুললেন নওসাদ
এই মাসেই ব্লু মুন, সুপার মুনের দেখা মিলবে। সাধারণ পূর্ণচন্দ্রের তুলনায় প্রায় ১৪ থেকে ৩০ শতাংশ বড় দেখাতে পারে চাঁদ এই সময়। ১ অগাস্ট যে পূর্ণিমা, তাকে পশ্চিমের দেশগুলিতে স্টার্জন মুন বলা হয়। উত্তর আমেরিকার জলাশয়ে পাওয়া যেত এই স্টার্জন মাছ। এই সময় মৎস্যশিকারিরা বের হতেন। তাই অগাস্ট মাসের পূর্ণিমার এমন নামকরণ।