১০৪,৭৬১ কিলোমিটার বেগে চলা এই গ্রহাণু যদি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেত, তা হলে তা বড় বিপদ ঘটাতে পারত। এর প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে শক ওয়েভ তৈরি হতে পারত।
গ্রহাণু RN16 অ্যাপোলো গ্রহাণু গোষ্ঠীর অংশ, যা পৃথিবীর জন্য বিপদ বলে মনে করা হচ্ছিল। এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২৯ কিলোমিটার উপরে বিস্ফোরণ ঘটাত। যার ফলে বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হত।
advertisement
আরও পড়ুন- বিশ্বের সেরা বোলার কে? লারা বলে দিলেন নাম! ‘এই’ বোলারকে সবাই ভয় পায়!
এই শক্তির পরিমাণ ১৬ মেগাটন TNT-এর সমতুল্য হবে। এটি একটি বিশাল শকওয়েভ তৈরি করত, যা পৃথিবীর জনজীবনকে প্রভাবিত করতে পারত।
NASA গ্রহাণু 2024 RN16-কে পৃথিবীর কাছাকাছি আসা বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। এটি অ্যাপোলো গ্রহাণু গোষ্ঠীর অংশ, যার কক্ষপথ সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর পথ দিয়ে যায়। কখনও কখনও এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসে। এই আকারের একটি গ্রহাণুর সংঘর্ষ খুবই বিরল বলে মনে করা হয়। এই ধরনের ঘটনা ৯৯০ বছরে একবারই ঘটে।
গ্রহাণু RN 16 পৃথিবীর কোনো ক্ষতি না করেই চলে গিয়েছে। কিন্তু আরেকটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। গ্রহাণু অ্যাপোফিসকে ধ্বংসের দেবতা বলা হয়।
আরও পড়ুন- ১৯ সেপ্টেম্বর ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট দেখবেন কোথায়? ক’টা থেকে শুরু? রইল সব আপডেট
এই বিশাল গ্রহাণুটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চেয়েও বড় বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্রহাণুটি ১৩ এপ্রিল ২০২৯-এ পৃথিবীর কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। নাসার পাশাপাশি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)ও গ্রহাণু অ্যাপোফিসের দিকে কড়া নজর রাখছে।