আমন তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা দানাপুর থেকে সম্পন্ন করেন। পড়াশোনায় সর্বদা এগিয়ে থাকা আমন পরে আইআইটি ভুবনেশ্বর থেকে বি.টেক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর ফলে কারিগরি ক্ষেত্রে তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ছিল। তিনি মিনিস্ট্রি অফ কমিউনিকেশনে রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হিসেবেও কাজ করেছিলেন। একটি নিরাপদ কেরিয়ার এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তাঁর সামনে ছিল। কিন্তু, তাঁর হৃদয়ের গভীরে একটি কণ্ঠস্বর ক্রমাগত তাঁকে সেনাবাহিনীর দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল।
advertisement
এই কারণেই আমন নিজের গবেষণার চাকরি ছেড়ে অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমি (ওটিএ), গয়ার পথ বেছে নিয়েছিলেন। এখানে যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক শক্তি, শৃঙ্খলা এবং সাহসকেও কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় পরিস্থিতি কঠিন ছিল, ব্যর্থতাও ছিল, কিন্তু আমন কখনও হাল ছাড়েননি। প্রতিদিন তিনি নিজেকে মনে করিয়ে দিতেন, “আমি একজন অফিসার হতে এসেছি এবং দেশের সেবা করাই আমার ধর্ম।”
দীর্ঘ সংগ্রাম এবং নিরন্তর কঠোর পরিশ্রমের পর আমন কুমার OTA থেকে পাস করে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করেছিলেন। তিনি এখন গোর্খা রাইফেলসে আছেন। ইউনিফর্ম পরার মুহূর্তটি কেবল তাঁর বাবা-মায়ের চোখে আনন্দের জল এনে দেয়নি, বরং পুরো গ্রামকে গর্বে ভরিয়ে দিয়েছে।
আমন কুমারের এই যাত্রা লাখ লাখ যুবকের জন্য অনুপ্রেরণা, যাঁরা মনে করেন যে গ্রাম বা ছোট শহর থেকে বেরিয়ে এসে বড় স্বপ্ন পূরণ করা যায় না। আমন প্রমাণ করেছেন যে, যদি উদ্দেশ্য দৃঢ় হয়, কঠোর পরিশ্রম চলতে থাকে এবং হৃদয়ে দেশপ্রেমের চেতনা থাকে, তাহলে কোনও গন্তব্যই অসম্ভব নয়। বর্তমানে আমন কেবল একজন লেফটেন্যান্ট নন, বরং সেই যুবকদের জন্য একজন আইকন হয়ে উঠেছেন, যাঁদের নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার সাহস রয়েছে। তাঁর গল্প বলে, “বড় কিছুর পরিকল্পনা করো, কঠোর পরিশ্রম করো এবং নিজের স্বপ্নকে ডানা মেলে উড়তে দাও।”