কয়েকদিন আগে, আলিয়া ভাটের এক লুকলাইক ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছিলেন। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা আসল আলিয়া এবং ইনস্টাগ্রামে সেলেস্টি বাইরাগে নামের মেয়েটির মধ্যে ফারাক করতে পারেননি। গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ির প্রচারের সময় আলিয়া যেই শাড়ি পরেছিলেন, তার অনুরূপ একটি সাদা শাড়ি পরেছেন এই মেয়েটিও। তবে মা-মেয়ে কীকরে একে অপরের লুকলাইক হলেন, তা দেখে হতবাক অনেকেই৷
advertisement
গাঙ্গুবাইয়ের বাস্তব জীবনের গল্প আবর্তিত হয়েছে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, উত্তরাধিকার এবং পতিতালয়ের রাজনীতিকে ঘিরে। একজন যৌনকর্মী হয়েও কীভাবে সমাজকর্মী হয়ে ওঠেন গাঙ্গুবাই, পতিতালয়ের অন্দরের সংস্কৃতি এবং রাজনীতি সবটুকুই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।
গাঙ্গুবাই তার বাবার হিসাবরক্ষক রমনিকের প্রেমে পড়েছিলেন। বলিউডে গিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। রমনিককে বিয়ে করে মুম্বইতে চলে আসেন গাঙ্গুবাই। প্রেমিক-স্বামী রমনিক গাঙ্গুবাইকে কামাথিপুরার পতিতালয়ে মাত্র ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দেন। এস হুসেন জাইদি নিজের বইতে লিখেছেন, করিম লালার গ্যাংয়ের একজন সদস্য গাঙ্গুবাইকে ধর্ষণও করে এবং তিনি করিমের কাছে গিয়ে বিচারের অনুরোধও জানান। করিম লালাকে রাখি পরিয়ে ভাই পাতিয়েছিলেন গাঙ্গুবাই। করিমই গাঙ্গুবাইকে কামাথিপুরা এলাকার দায়িত্ব দেন এবং এর পর থেকেই ধীরে ধীরে ‘মাফিয়া কুইন’ হয়ে ওঠেন গাঙ্গুবাই। সম্মতির বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও মেয়েকেই পতিতালয়ে রাখেননি গাঙ্গুবাই এবং যৌনকর্মী এবং অনাথ শিশুদের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গিয়েছিলেন গাঙ্গুবাই। ছবিতে সেই চরিত্রকেই ফুটিয়ে তুলেছিলেন আলিয়া৷ তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ছবিটি৷