ধৃত কর্মীদের থেকে নেওয়া ‘মাফিনামা’। ২০০ বার করে লেখানো হয়েছে ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী’। ধৃত কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এইমসের ডিরেক্টর। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে ফের এমন ভুল করলে হাসপাতাল থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হবে।
advertisement
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসের রেডিওডায়াগনসিস এবং ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অমরিন্দর সিং মালহি বলেছেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এইমস ক্যাম্পাসে তামাক সেবন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পাশাপাশি ক্যাম্পাসকে ‘তামাকমুক্ত অঞ্চল’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্মীদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করা বলা হয়েছিল, ‘এইমসের কোনও অস্থায়ী কর্মচারী হাসপাতালে বিড়ি, সিগারেট, তামাক, খৈনি বা গুটখা সেবন করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আর কোনও স্থায়ী কর্মচারী যদি ধরা পড়েন তাহলে প্রথমবার সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হবে। ফের একই ভুল করলে বরখাস্ত করা হবে। এরপর থেকে হাসপাতালে মনিটরিং শুরু হয়।
ডা. মালহি বলেন, গত ১০ মাসে হাসপাতালের প্রায় আড়াইশো কর্মচারী গুটখা, খৈনি, তামাক বা বিড়ি, সিগারেট সেবন করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। তাঁদের সবার কাছ থেকে ২০০ বার ক্ষমাপ্রার্থীর চিঠি লেখানো হয়েছে।
ক্ষমাপ্রার্থনার চিঠিতে যা লিখতে হয়েছে: ডা. মালহি জানিয়েছেন, ক্ষমাপ্রার্থনার চিঠিতে ধৃত কর্মীদের ২০০ বার লিখতে হয়েছে, ‘জর্দা ও খৈনি খেলে ক্যানসার হয়। তামাক খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটা খাওয়া উচিত নয়’। এখনও পর্যন্ত ধরা পড়া ৫০ জন কর্মী এই চিঠি লিখে এইমসের ডিরেক্টরকে পাঠিয়েছেন। বাকিদের দিয়েও লেখানো হচ্ছে। পাশাপাশি আরও একটি চিঠিতে লেখানো হচ্ছে, ‘ফের নেশা করতে গিয়ে ধরা পড়লে আমাকে বহিষ্কার করবেন’।