আরও পড়ুন– ফের প্রকাশ্যে সচিন-কাম্বলি জুটি ! কাম্বলি গাইলেন গান, হাততালি দিলেন মাস্টার ব্লাস্টার
জানা গিয়েছে যে আগ্রা পুলিশ ৫ সদস্যের একটি চক্রকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে, যা বিভিন্ন লোককে প্রতারণা করে ১১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আগ্রার বাসিন্দা বিনয় আহুজা ৪ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে একটি কল পেয়েছিলেন। আইপিওতে বিনিয়োগের নামে ১৮ লাখ টাকা তাঁর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগ্রার সাইবার সেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এর পরেই আগ্রা পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের পাশাপাশি অপরাধীরা বেশিরভাগ সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে তাদের টার্গেট করে তুলেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন– লিভ ইন করতেন, সবাই বলত ‘দুজনকে একই রকম দেখতে’, ডিএনএ টেস্ট করাতেই মাথায় হাত দম্পতির
জেরায় দুর্বৃত্তরা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা বিনিয়োগের নামে প্রতারণা করত। আইপিও ও পলিসিতে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করা হত। গ্রামের সহজ সরল মানুষকেই বেশিরভাগ সময়ে তারা ধোঁকা দিত। তারা তাদের কাগজপত্রের ভিত্তিতে টাকার প্রলোভনে সিম ক্রয় করত এবং পরে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলত। সেখানেই জালিয়াতির সমস্ত টাকা জমা পড়ত। এখনও পর্যন্ত ৮৫টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছে তারা। ভারত-সহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি থেকে প্রায় ২৩৯টি লেনদেনে ১১০ কোটি টাকারও বেশি জালিয়াতি করেছে। চক্রের সদস্যরা মাঝে মাঝেই আমিরশাহীতে যেতেন। বর্তমানে এই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই চক্রের অন্য সদস্যদেরও খোঁজ চলছে। সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অনেক ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ডেবিট কার্ড ও ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, অন্যান্য সদস্যদেরও যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হবে।
ডিসিপি সিটি সুরজ রাই বলেন, সাইবার থানাতেও এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে বিনয় আহুজাকে তাঁর ১৮ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আগ্রায় আরও দুটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ডিজিটাল অ্যারেস্ট এবং একটি আইপিও বিনিয়োগ- সেসব ঘটনার টাকাও এসেছে এসব অ্যাকাউন্টে। রাই আরও জানান যে, ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য কর্মচারীদেরও সন্দেহ করা হচ্ছে। সাইবার স্লেভ বানিয়ে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টিও প্রকাশ্যে এসেছে।