আরও পড়ুন– ‘টাকা আমরা দেব’, বিনোদ কাম্বলির পাশে ৮৩-এর বিশ্বকাপজয়ী দল, কিন্তু একটা শর্ত মানতে হবে
আসলে দিন কয়েক আগেই কানাডা থেকে মনে আনন্দ আর চোখে স্বপ্ন নিয়ে তাজমহল দেখতে একাই ভারতে এসেছিলেন বিদেশিনী। আগ্রা পৌঁছেই সময় নষ্ট না করে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাজমহল দেখতে। আর তাজমহল দেখে তাঁর আনন্দ ছিল বাঁধভাঙা। এরপর আগ্রার মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখতে বেরিয়ে পড়েন। তাজগঞ্জ এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে একটি মূল্যবান রত্নপাথরের শোরুম দেখে সেখানে প্রবেশ করেন বিদেশিনী পর্যটক। সেখানে রত্নপাথর দেখতে থাকেন। এরপর বেশ কয়েকটি চুনী তাঁর পছন্দও হয়।
advertisement
আর দেখামাত্রই সুন্দর দেখতে ৩টে চুনী কিনেও ফেলেন ওই মহিলা। এর জন্য শোরুমের মালিককে তিনি ২৭০০ ডলার দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ৩টি চুনীর জন্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন তিনি। বেশ খোশমেজাজেই মূল্যবান রত্নপাথর নিয়ে দেশেও ফিরে গিয়েছিলেন বিদেশিনী।
কিন্তু সেখানেই সবটা দিনের আলোর মতো প্রকাশ্যে চলে আসে। আসলে বাড়ি ফিরে সকলকে সেই চুনীগুলি দেখাতে থাকেন ওই পর্যটক। জানা যায় যে, তিনটি চুনীই জাল। আর এটা জেনে রীতিমতো মাথা ঘুরে গিয়েছিল ওই পর্যটকের। বুঝতে পারেন, ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। প্রথমে কী করবেন, সেটাই মাথায় আসেনি তাঁর। হতাশায় আতঙ্কে সরাসরি শোরুমের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই মহিলা। শোরুম মালিকও অত্যন্ত ধূর্ত। সে প্রথমে ওই বিদেশিনীকে ভুল পথে চালিত করতে চায়। এরপর সরাসরি তাঁর নম্বরটাই ব্লক করে দেয়।
এদিকে বিদেশিনী মহিলা পর্যটকের উত্তেজনা আরও বাড়তে শুরু করে। বারবার ফোন করা সত্ত্বেও আগ্রার শোরুমের মালিক ফোন তোলেনি। এরপর আইনের দ্বারস্থ হন এই মহিলা। ই-মেল এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আগ্রা ট্যুরিজম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়েরও করেন। এবার গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পর্যটকদের বোকা বানানোর কিংবা প্রতারণা করার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও পুলিশে এমন অভিযোগ জমা পড়েছে। অনেক সময় মার্বেলের হাতে তৈরি শিল্পকর্ম দেখিয়ে বিদেশি পর্যটকদের টুপি পরানো হচ্ছে। আসলে ট্রেন কিংবা বাস থেকে নামতেই পর্যটকদের ঘিরে ধরে সেখানকার অসাধু ব্যবসায়ীরা। কখনও তাজমহলে ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় পর্যটকদের, তো কখনও বা কেনাকাটা-খাওয়াদাওয়ার উপর বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথাও বলা হয়। যতক্ষণ না পর্যটকরা সেই জালে পা দিচ্ছেন, ততক্ষণ চলতে থাকে এই জুলুমবাজি।