‘টাকা আমরা দেব’, বিনোদ কাম্বলির পাশে ৮৩-এর বিশ্বকাপজয়ী দল, কিন্তু একটা শর্ত মানতে হবে

Last Updated:
Vinod Kambli To Receive Financial Help: কাম্বলির এমন হাল হল কী করে? এই নিয়ে চর্চা চলছে বিস্তর। অনেকেই তাঁর মদ্যপানের আসক্তি, উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনকেই দায়ী করেছেন। কিন্তু তাঁকে তো সুস্থ করে তুলতে হবে! কাম্বলির জন্য এবার এগিয়ে এলেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যরা।
1/6
এ কী অবস্থা হয়েছে! মুম্বইয়ে কিংবদন্তি কোচ রমাকান্ত আচরেকরের স্মরণসভায় বিনোদ কাম্বলিকে দেখে আঁতকে উঠেছেন অনেকেই। চোখমুখ ঢুকে গিয়েছে, হাত কাঁপছে, আচরণও যেন একটু অপ্রকৃতস্থ। এ যেন বিনোদ নয়, বিনোদের ছায়ামাত্র।
এ কী অবস্থা হয়েছে! মুম্বইয়ে কিংবদন্তি কোচ রমাকান্ত আচরেকরের স্মরণসভায় বিনোদ কাম্বলিকে দেখে আঁতকে উঠেছেন অনেকেই। চোখমুখ ঢুকে গিয়েছে, হাত কাঁপছে, আচরণও যেন একটু অপ্রকৃতস্থ। এ যেন বিনোদ নয়, বিনোদের ছায়ামাত্র।
advertisement
2/6
মঞ্চে প্রভীন আমরে, বলবিন্দর সিং সান্ধু, সঞ্জয় বাঙ্গাররাও বসে। বিনোদ কাম্বলিকে দেখে সচিন নিজেই এগিয়ে যান। বিনোদ প্রথমে বুঝতে পারেননি। তারপরই বাল্যবন্ধুর হাত এমনভাবে আঁকড়ে ধরেন যেন আর ছাড়বেন না। ওইভাবেই উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু দাঁড়াতে পারেননি।
মঞ্চে প্রভীন আমরে, বলবিন্দর সিং সান্ধু, সঞ্জয় বাঙ্গাররাও বসে। বিনোদ কাম্বলিকে দেখে সচিন নিজেই এগিয়ে যান। বিনোদ প্রথমে বুঝতে পারেননি। তারপরই বাল্যবন্ধুর হাত এমনভাবে আঁকড়ে ধরেন যেন আর ছাড়বেন না। ওইভাবেই উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু দাঁড়াতে পারেননি।
advertisement
3/6
কাম্বলির এমন হাল হল কী করে? এই নিয়ে চর্চা চলছে বিস্তর। অনেকেই তাঁর মদ্যপানের আসক্তি, উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনকেই দায়ী করেছেন। কিন্তু তাঁকে তো সুস্থ করে তুলতে হবে! কাম্বলির জন্য এবার এগিয়ে এলেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সমস্ত খরচখরচা তাঁরাই বহন করবেন। কিন্তু শর্ত একটাই, কাম্বলিকে নিজে রিহ্যাবে যেতে হবে।
কাম্বলির এমন হাল হল কী করে? এই নিয়ে চর্চা চলছে বিস্তর। অনেকেই তাঁর মদ্যপানের আসক্তি, উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনকেই দায়ী করেছেন। কিন্তু তাঁকে তো সুস্থ করে তুলতে হবে! কাম্বলির জন্য এবার এগিয়ে এলেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সমস্ত খরচখরচা তাঁরাই বহন করবেন। কিন্তু শর্ত একটাই, কাম্বলিকে নিজে রিহ্যাবে যেতে হবে।
advertisement
4/6
১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য এবং প্রাক্তন ফাস্ট বোলার সান্ধু Hindustantimes.com-কে বলেন, “কপিল (১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিকার কপিল দেব) আমায় বলেছেন, কাম্বলি যদি রিহ্যাবে যেতে চায় তাহলে আমরা সবরকম সাহায্য করব।” এরপর তিনি শর্ত দেন, “যতদিন চিকিৎসা চলে চলুক। সব খরচা আমরা দেব। কিন্তু কাম্বলিকে নিজে রিহ্যাবে ভর্তি হতে হবে।”
১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য এবং প্রাক্তন ফাস্ট বোলার সান্ধু Hindustantimes.com-কে বলেন, “কপিল (১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিকার কপিল দেব) আমায় বলেছেন, কাম্বলি যদি রিহ্যাবে যেতে চায় তাহলে আমরা সবরকম সাহায্য করব।” এরপর তিনি শর্ত দেন, “যতদিন চিকিৎসা চলে চলুক। সব খরচা আমরা দেব। কিন্তু কাম্বলিকে নিজে রিহ্যাবে ভর্তি হতে হবে।”
advertisement
5/6
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা যখনই সমস্যায় পড়েছেন এগিয়ে এসেছে কপিল অ্যান্ড কোং। পাশে দাঁড়িয়েছে, আর্থিক সাহায্য করেছে। প্রাক্তন ব্যাটসম্যান এবং কোচ অংশুমান গায়কোয়াড়ের যখন ক্যানসার ধরা পড়ে তখনও আর্থিক ও মানসিক শক্তি যুগিয়েছিলেন ৮৩-এর বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা। কাম্বলির বেলাতেও তার অন্যথা হল না। কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে? না, বিনোদ কাম্বলিকে রিহ্যাবে পাঠিয়ে কোনও লাভ নেই। এমনটাই মনে করেন প্রাক্তন ফার্স্ট ক্লাস আম্পায়ার এবং কাম্বলি ঘনিষ্ঠ মার্কাস কুটো। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে তিনি বলেছেন, “কাম্বলির অবস্থা গুরুতর। একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। কিন্তু ওঁকে রিহ্যাবে পাঠানোর কোনও মানে হয় না।”
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা যখনই সমস্যায় পড়েছেন এগিয়ে এসেছে কপিল অ্যান্ড কোং। পাশে দাঁড়িয়েছে, আর্থিক সাহায্য করেছে। প্রাক্তন ব্যাটসম্যান এবং কোচ অংশুমান গায়কোয়াড়ের যখন ক্যানসার ধরা পড়ে তখনও আর্থিক ও মানসিক শক্তি যুগিয়েছিলেন ৮৩-এর বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা। কাম্বলির বেলাতেও তার অন্যথা হল না। কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে? না, বিনোদ কাম্বলিকে রিহ্যাবে পাঠিয়ে কোনও লাভ নেই। এমনটাই মনে করেন প্রাক্তন ফার্স্ট ক্লাস আম্পায়ার এবং কাম্বলি ঘনিষ্ঠ মার্কাস কুটো। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে তিনি বলেছেন, “কাম্বলির অবস্থা গুরুতর। একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। কিন্তু ওঁকে রিহ্যাবে পাঠানোর কোনও মানে হয় না।”
advertisement
6/6
কেন? তার উত্তরও দিয়েছেন কুটো। তিনি বলছেন, “কাম্বলিকে ১৪ বার রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছে। আমরাই তিনবার ভাসাইয়ের একটি রিহ্যাবে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যে কে সেই। অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।” দেশের জার্সিতে ১৭টি টেস্ট এবং ১০৪টি ওয়ান ডে খেলেছেন কাম্বলি। টেস্টে ১,০৮৪ এবং ওয়ানডেতে ২,৪৭৭ রান করেছেন। রয়েছে দুটি ডবল সেঞ্চুরিও। তবে নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করেননি কোনওদিনই। সেই অভ্যাস বোধহয় এখনও রয়ে গিয়েছে কাম্বলির।
কেন? তার উত্তরও দিয়েছেন কুটো। তিনি বলছেন, “কাম্বলিকে ১৪ বার রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছে। আমরাই তিনবার ভাসাইয়ের একটি রিহ্যাবে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যে কে সেই। অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।” দেশের জার্সিতে ১৭টি টেস্ট এবং ১০৪টি ওয়ান ডে খেলেছেন কাম্বলি। টেস্টে ১,০৮৪ এবং ওয়ানডেতে ২,৪৭৭ রান করেছেন। রয়েছে দুটি ডবল সেঞ্চুরিও। তবে নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করেননি কোনওদিনই। সেই অভ্যাস বোধহয় এখনও রয়ে গিয়েছে কাম্বলির।
advertisement
advertisement
advertisement