আরও পড়ুন বাবা লোকনাথের মতাদর্শ মেনে চললেই আপনিই হবেন সবার প্রিয়-ভালবাসার মানুষ
শনিবার নিরামিষ খাবার খেলে বিশেষ উপকার মিলতে পারে ৷ নিরামিষ খাবারের সঙ্গে বিশেষ করে গোলমরিচ খাবারের সঙ্গে খেতে পারলে বিশেষ উপকৃত হবেন আপনি ৷ এখন শ্রাবণ মাস তাই প্রতি শনিবার শনিদেবের মন্দিরে একটি তাল নৈবেদ্য দিলে বিশেষ উপকার পাবেন ৷
advertisement
গ্রহরাজের পুজো দেওয়ার সময়ে কিছু করুন না করুন লাল বাতাসা সহযোগে পুজো দিলে ভাল হতে পারে ৷ লাল বাতাসা বড়বাবার প্রকোপ থেকে রক্ষা করে ৷ পুজো শেষে সেই বাতাসা ভক্তদের বিলিয়ে দেবেন নিজে হাতে অথবা বাতাসার হরিলুট দিতেও পারেন ৷ বিশেষ ভাবে আপনার সহায় হবে ৷ হরি অর্থাৎ স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ ৷ শ্রীকৃষ্ণের কৃপার আপনাকে বড়বাবার রোষানল থেকে রক্ষা করবে ৷
শনিবার গ্রহরাজের পুজো দেওয়ার সময়ে অবশ্যই নীল কাপড় দিয়ে পুজো দিলে আপনার ফাঁড়া কাটতে পারে ৷ তবে কাপড় মানেই আস্ত কাপড় নয় এক টুকরো নীল কাপড় হলেও হবে ৷ সব দোষ কেটে যাবে ৷
আরও পড়ুন বন্দে পুরুষোত্তম, পরম প্রেমময় অনুকুল ঠাকুরের এই মন্ত্রেই লুকিয়ে রয়েছে ভাল থাকার চাবিকাঠি
প্রতি শনিবার বড় ঠাকুরের পুজো দিয়ে প্রণাম করবেন প্রণামের সঙ্গে দক্ষিণা হিসেবে ষোলোআনা অর্থাৎ এক টাকার কয়েন দিতে হবে প্রণামী হিসেবে ৷ এক টাকা বা ষোলোআনা আপনার গ্রহদোষ থেকে ষোলোআনা মুক্তি দেবে আপনাকে ৷
শনিদেবের রোষানল থেকে মুক্তি পেতে নিযমিত শিবপুজো করুন অন্যথায় হনুমানজির আরাধনা করুন পাঠ করন হনুমান চল্লিশা ৷ শনিদেবের রোষানল একমাত্র আটকাতে পারেন পবনপুত্র হনুমানের প্রবল তেজ ৷
পুজোর শেষে বাবাকে প্রণাম করবেন সোজাসুজি নয় এক প্রান্ত থেকে বাবাকে প্রণাম করার এটাই নিয়ম ৷ তাই ভুলেও বাবাকে সোজাসুজি তাকিয়ে প্রণাম করবেন না ৷ বাবার দিকে সরাসরি তাকানো উচিৎ নয় পুরাণ মতেই শনিদেব বা বড়বাবাকে কেউ সরাসির দর্শন করেন না ৷
আরও পড়ুন প্রতিদিন এই ফুলে শিবপুজো করলে ফল পাবেন হাতেনাতে
সব থেকে আরও একটি বিষয় লক্ষ করতে হবে ৷ ভুলেও যেন বাবার প্রসাদ বাড়িতে ভেতরে নিয়ে আসবেন না ৷ বড়বাবার মহাপ্রসাদ বাড়ির বাইরে খেয়ে ভাল করে হাত মুখ ধুয়ে ঘরে ঢুকবেন ৷ এই নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করুন দেখবেন বাবার মহাদশা থেকে আপনি পাবেন মুক্তি ৷ শনিদেব যখন তাঁর মহাদশা থেকে মুক্তি দেবেন ৷ মুক্তি দেওয়ার আগে জীবন ভরিয়ে দেন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ৷