ক্যান্ডিস ক্লস (Candice Kloss) নামে মডেল গত ২ বছরের মধ্যে তাঁর মুখের উপর বেশ পরীক্ষা করেছেন। যার জন্য খরচাও তিনি কম করেননি! মুখের ফিলারের জন্য গুণে গুণে ১০ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। কিন্তু অবশেষ ফলাফল দেখে খুশি হননি তরুণী। বরং মডেলটির মতে তিনি তাঁর পুরনো মুখ ভুলে গিয়েছেন এবং সেটিই ফিরে পেতে চান।
advertisement
ক্যান্ডিস ক্লস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক (New York) সিটির বাসিন্দা। নিজেকে পুতুলের মতো দেখতে চেয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী এই মডেল। তবে সৌন্দর্যের প্রতি উন্মত্ততা থাকলেও বুদ্ধিমত্তাতে কিন্তু একেবারেই পিছিয়ে নেই ওই মডেল। ক্যান্ডিসের আইকিউ ১৩৭ এবং তিনি মেনসার সদস্য যা বেশ জ্ঞানীদের ক্লাব হিসাবে পরিচিত। বুদ্ধিমত্তায় শীর্ষস্থানে থেকেও নিজেকে সুন্দর দেখাতে তিনি রীতিমত পাগল হয়ে উঠেছিলেন। যার জন্য বিগত ২ বছরে তিনি মুখে সব ফিলার ব্যবহার করে ফেলেছে। ১০ লাখেরও বেশি টাকা উড়িয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং নকল চেহারা পেয়েওছিলেন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হননি। বরং কিছু দিন পর থেকে তাঁর পুরনো চেহারাকেই মনে পড়তে থাকে। এমনকী, এখন তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্তও বটে ৷
আরও পড়ুন-মাত্র ১০ হাজার টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা, প্রতি মাসে হতে পারে লাখ টাকা পর্যন্ত আয়!
প্রসঙ্গত, ইনস্টাগ্রামে (Instagram) ক্যান্ডিসের ৪২০০০ ফলোয়ার রয়েছে, কিন্তু ক্যান্ডিস নিজেই এখন এই নকল চেহারায় ক্লান্ত। ক্যান্ডিস বলেছেন যে তিনি এখন স্বাভাবিক হতে চান। ২০২১ সালে তিনি ঠোঁট, গাল এবং চোয়ালে ফিলার নিয়েছিলেন যা তাঁর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে শেষ করে দিয়েছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে এই কৃত্রিমতা আসলে তাঁর মুখের ক্ষতি করেছে এবং শীঘ্রই তাঁকে বৃদ্ধ দেখাবে। তাই এখন ক্যান্ডিস তাঁর ফিলার গলিয়ে পুরনো চেহারায় ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।