কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই মুলোয় জেনে নেওয়া যাক এবারে।
ভরতপুরের রুদাওয়াল শহরের নিভেরা গ্রাম আজ মানুষের কাছে এক বিস্ময়। এখানে এক কৃষক তাঁর ক্ষেতে আশ্চর্যজনক মুলো উৎপাদন করেছেন। এটি আকারে যেমন অস্বাভাবিক বড়, তেমনই দেখতেও সাধারণ মুলোর মতো নয়।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর এক আশ্চর্য গ্রাম, এখানে মানুষ জন্মেই হয়ে যায় ‘বেঁটে’, বিজ্ঞানীরাও অবাক
advertisement
এর আকার ও ওজন দেখতে চারপাশের বহু গ্রাম থেকে দর্শকরা আসছেন। এই খামারটি কৃষক হরিরাম শর্মার। এখানে এক একটি মুলোর ওজন ১১ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়।
হরিরাম শর্মা লোকাল নিউজ ১৮-কে জানিয়েছেন যে, সাধারণ মুলোর ওজন হয় ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম। কিন্তু তাঁর ক্ষেতে বেড়ে ওঠা মুলোর আকার ও ওজন সাধারণ মুলোর চেয়ে বহুগুণ বেশি।
এদের ওজন প্রায় ১১ থেকে ১৫ কেজি। এই মুলোর উচ্চতাওও ২ থেকে ৩ ফুট। বাজারে এই মুলো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।
আসলে হরিরাম শর্মা জমিতে হাইব্রিড মুলোর বীজ রোপণ করেছিলেন। তাই ফলন ভাল হবে বলে তিনি প্রথম থেকেই আশা করেছিলেন। কিন্তু তিনি কল্পনাও করেননি যে, তাঁর মুলোর ওজন এত বেশি হবে।
এগুলো সাধারণ মুলোর চেয়ে বহুগুণ ভারি ও বড়, তাই অনেক মানুষই দেখতে আসছেন। এগুলো এতই ভারি যে এগুলো উপড়ে ফেলতে দুই জন মানুষের সাহায্য নিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিখ্যাত এই ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন ধনঞ্জয়, সম্পত্তির পরিমাণ জানেন?
স্বাদও আশ্চর্যজনক
তবে শুধু চেহারায় আশ্চর্য নয়, এটি ভিন্ন স্বাদের বলেও জানিয়েছেন ওই কৃষক। এই মুলোর স্বাদ বেশ ভাল। এগুলি পরোটা এবং স্যালাড বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। হরিরাম শর্মা বলেন, এখানকার মাটি খুবই ভাল, যার কারণে এখানে ফলনও ভাল হয়।