এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন- মণ্ডপে বাজবে দৃষ্টিহীন শিল্পীদের গান, পুজো কমিটির উদ্যোগে রেকর্ডিং
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৯ সেপ্টেম্বরের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ২ আশ্বিন। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত।
advertisement
বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল সোম এবং এই নবমী তিথি থাকবে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধে ৬টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের দশমী তিথি।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৯ সেপ্টেম্বর সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৫টা ৪৪ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ২২ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথির নক্ষত্র হল অর্দ্রা। ১৯ সেপ্টেম্বর, সন্ধে ৭টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত অর্দ্রা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে পুনর্বসু নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবে কন্যা রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে মিথুন রাশিতে ২০ সেপ্টেম্বর, দুপুর ২টো ২৪ মিনিট পর্যন্ত।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৯ সেপ্টেম্বর মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ১৯ সেপ্টেম্বর পড়েছে ভোর ৫টা ৩৯ মিনিট - সকাল ৭টা ১৬ মিনিট, সকাল ৮টা ৫৩ মিনিট - সকাল ১১টা ১৮ মিনিট, রাত ৮টা ০৭ মিনিট - রাত ১১টা ১৮ মিনিটে তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৯ সেপ্টেম্বর রাহুকাল বা কালবেলা শুরু হচ্ছে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে, শেষ হচ্ছে সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।