#কালিয়াগঞ্জ: একই রাতে তরুণীকে পরপর দু’বার গণধর্ষণের অভিযোগ। বর্ষবরণের রাতে হোটেল থেকে দিনমজুরির কাজ সেরে ফিরছিলেন তরুণী। অভিযোগ, হোটেলের কাছ থেকে তুলে নিয়ে মদ খাইয়ে প্রথমে গণধর্ষণ করে দুই যুবক। এরপর তরুণী কোনওমতে বাড়ির দিকে রওনা হলে এক ট্রেকার চালক গাড়িেত তুলে তাঁকে ধর্ষণ করে। দু’জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। আরেক অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
advertisement
৫ দিনের পুলিশী হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার তাদের রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয়। ধৃত নকুল মহন্তের পুত্র বধূ জানিয়েছেন, তার শ্বশুড় নির্দোষ। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বাকি একজনের খোঁজে তল্লাশী চলছে। তদন্ত শেষ করে খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হবে।
৩১ ডিসেম্বর রাত। সবাই উৎসবের আনন্দে ব্যস্ত। সেই রাতে তরুণীকে পরপর দু’বার গণধর্ষণের অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের হরিহরপুরের একটি হোটেলে কাজ করেন তরুণী। বর্ষবরণের রাতেও হোটেলের কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন তরুণী। অভিযোগ, সুজন ও শিবু বর্মন নামে দুই যুবক তরুণীকে হোটেলের কাছ থেকে তুলে নিরিবিলি এলাকায় নিয়ে যায়। জোর করে মদ খাইয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করে। তরুণী কোনওমতে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। এরপর নকুল মোহন্ত নামে এক ট্রেকার চালক তাঁকে দেখতে পায়। অভিযোগ, ওই ট্রেকার চালকও তরুণীকে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করে।
ভোররাতে ধনকৈল মোড় থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে পরিবার। সেদিনই কালিয়াগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্ত শিবু বর্মন ও ট্রেকার চালক নকুল মোহন্ত গ্রেফতার হয়।
যদিও ধৃত নকুল মোহন্তের পরিবারের দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
গণধর্ষণের ঘটনার পর তরুণীর প্রতিবেশীরা আতঙ্কে ভুগছেন।
ধৃত শিবু বর্মন ও নকুল মোহন্তের চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রায়গঞ্জ আদালত।