এই মেলাতেই দেখা মিলছে বিচিত্র সব জুয়ার ঠেক, কোথাও তাস, কোথাও গুঠি দিয়ে খেলা হচ্ছে, আবার কোথাও চরকি আরও কত সব নিত্যনতুন জুয়ার ঠেকের দেখা মিলছে এই মেলায়। যার যেখানে পছন্দ নিজের ইচ্ছেমতো জুয়া খেলেই চলেছেন বাধা দেওয়ার কেউ নেই।
আরও পড়ুন- ভারতীয় পড়ুয়ারা কেন এই বিষয় নিয়ে পড়তে বাংলাদেশেই যান? সংখ্যাটা ক্রমশই বাড়ছে!
advertisement
অবাক হলেও এমনটাই সত্যি! প্রতিবছর মুলা ষষ্ঠী উপলক্ষে পুরাতন মালদহের মোকাতিপুরে বেহুলা নদীর তীরে এই জুয়াড়ি মেলার আয়োজন করা হয়। হেমলতা চক্রবর্তী বলেন, এই একদিন অবাধে জুয়া খেলা যায় এখানে। মহিলা পুরুষ সকলেই আমরা এখানে জুয়া খেলি।
স্থানীয়দের কথায় প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে এই জুয়ারি মেলা। আজও বহাল তবিয়েতে চলেছে। পুরাতন মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এই মেলায় আসেন।মূলত মূলা ষষ্ঠী উপলক্ষে পুজো হয়ে থাকে এখানে। স্থানীয় বেহুলা নদীর তীরে রয়েছে প্রাচীন মন্দির। এই মন্দিরেই রীতি মেনে হয়ে আসছে পুজো। সঙ্গে চলছে জুয়ার আসর। জমজমাট এই জুয়ারী মেলা আর অন্য কোথাও দেখা যায়না। স্থানীয়দের মধ্যে কথিত আছে, মনসামঙ্গল কাব্য বেহুলা তাঁর স্বামী লখিন্দরকে ভেলায় করে এই নদীর উপর দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাই এই নদীর নাম বেহুলা।
পুরাতন মালদহের মোকাতিপুরে জুয়ারির ঘাট ছিল। জুয়ারীকে আত্মহত্যার হাত থেকে এই ঘাটেই বাঁচিয়ে ছিলেন বেহুলা।তখন থেকেই এখানে মুলাষষ্ঠী উপলক্ষে জুয়ারী মেলা শুরু হয়। মিঠু চাকি বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই জুয়া মেলা। মনসামঙ্গল কাব্যে বেহুলার সঙ্গে এই জুয়া মেলার যোগসূত্র রয়েছে। এখনও রীতি মেনে জুয়া মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখনও প্রাচীন রীতি মেনে এই মেলায় মহিলা পুরুষ সকলেই জুয়া খেলায় মেতে ওঠেন।
হরষিত সিংহ